তাঁর ঘরে সাজানো আছে মহম্মদ আলির সই করা গ্লাভস। ডায়ার স্ট্রেট-এর মার্ক নফলারের স্বাক্ষরিত গিটার। আর স্বয়ং ডন ব্র্যাডম্যানের অটোগ্রাফ করা ব্যাট।
তাঁর সংগ্রহশালায় এ রকম ঐতিহাসিক বস্তুর সংখ্যা কম নেই। তবে তার মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় সংগ্রহটা কী, জানতে চাইলে কিন্তু অবাক করা একটা উত্তর আসবে।
শিবাজি পার্ক জিমখানায়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্র্যাকটিসের শেষে কোচের দেওয়া যে কয়েনগুলো পুরস্কার হিসাবে পেয়েছিলেন, সেগুলোই এখন সচিন রমেশ তেন্ডুলকরের কাছে সবচেয়ে মহার্ঘ সংগ্রহ। “কোচ আচরেকর স্যার আমাকে যে কয়েনগুলো দিয়েছিলেন, সেগুলোই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ,” বুধবার এক অনুষ্ঠানে এসে বলেছেন সচিন। কিশোর সচিনের প্র্যাকটিসের সময় স্টাম্পের উপর একটা করে কয়েন রেখে দিতেন আচরেকর। সারা দিনে একবারও আউট না হলে সে কয়েনগুলোর মালিক হয়ে যেতেন খুদে সচিন। এ ভাবেই মাস্টারের সংগ্রহে জমেছে তেরোটি কয়েন। |
বিরল সংগ্রহের সামনে বিশেষ ক্রীড়াবিদ। মুম্বইয়ে। ছবি: পিটিআই। |
ক্রিকেটের বাইরে আরও একটা জগৎ যা সচিনকে টানে, তা হল সঙ্গীত। তাই তো মার্ক নফলারের সঙ্গে দেখা হওয়ার দিনটা ভুলতে পারেন না। ভুলতে পারেন না তাঁর উপহারের কথা। “খেলার কথা যদি বলেন, তা হলে ক্রিকেট বাদে মোটরস্পোর্টস আর ফুটবলের কথা বলব। আর খেলার জগতের বাইরে অবশ্যই আসবে মিউজিক। আর যদি ওয়েস্টার্ন মিউজিকের কথা বলেন তো নাম করব ডায়ার স্ট্রেটের। নফলার আমাকে ওর ব্যক্তিগত গিটারটা উপহার দিয়েছিল। আমার সংগ্রহের তালিকায় ওটা খুব উপর দিকেই থাকবে,” বলছিলেন সচিন।
আর এখন একটা উপহারের জন্য সাগ্রহে অপেক্ষা করে আছেন তিনি। “লতা দিদি আমাকে একটা উপহার দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আশা করছি, সেটা পেয়ে যাব। উপহারটা একটা চমক হবে, একটা স্পেশাল কিছু,” বলছিলেন ক্রিকেট থেকে সদ্য প্রাক্তন হয়ে যাওয়া মহাতারকা। |
ভারতীয় সঙ্গীত জগৎ থেকে পাওয়া কয়েকটা বিশেষ উপহারের কথাও শোনা যাচ্ছে সচিনের মুখে। বলছেন, “আশাজি আমাকে ওর ব্যক্তিগত একটা রেকর্ড দিয়েছিলেন। সত্তর দশকের। ওঁর সই করা। তা ছাড়া গানের একটা নোটেশনও নিজে লিখে দিয়েছিলেন। এ ছাড়া এ আর রহমানও আমার বিশেষ বন্ধু। ওর নিজের গিটার দিয়েছিল আমাকে। এ সবই আমার সংগ্রহে খুব বিশেষ জিনিস।”
এ সব উপহারের সঙ্গে যে স্মৃতিটা জড়িয়ে আছে, সেটাই বেশি করে টানে সচিনকে। বলছিলেন, “এ সব কিছুই ওঁদের কাছে খুব ব্যক্তিগত ছিল। আর আমার হাতে সে সবই ওঁরা তুলে দিয়েছেন। এর গুরুত্ব তাই আমার কাছে অন্য রকম।” |