রাজেশ জেল হাসপাতালের কর্মী, ছাত্র পড়াবেন নূপুর
নামী চিকিৎসক দম্পতির এখন মাথা পিছু দৈনিক মজুরি ৪০ টাকা!
দসনা জেলের হাসপাতালেই এখন থেকে কাজ করবেন দন্ত চিকিৎসক রাজেশ। আর জেলে বন্দি মহিলা ও তাদের শিশুদের পড়াশোনার দিকটা দেখভাল করবেন নূপুর। গত কালই সাঙ্গ হয়েছে সাজা ঘোষণার পালা। তরুণী কন্যা আরুষি ও বাড়ির পরিচারক হেমরাজকে খুনের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক শ্যাম লাল। আরুষি-হেমরাজ হত্যাকাণ্ডকে বিরলের মধ্যে বিরলতম আখ্যা দিয়ে সিবিআই তলবার দম্পতির মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানালেও বিচারক তা খারিজ করে দেন। রায় ঘোষণার পর পরই ওই দম্পতিকে নিয়ে আসা হয় গাজিয়াবাদের দসনা জেলে। পৃথক পৃথক সেলে রাখা হয় তাঁদের। দসনা জেল চত্বর তলবার দম্পতির কাছে অপরিচিত না হলেও শাস্তিপ্রাপ্ত অপরাধী হিসেবে এই প্রথম গোটা একটা রাত্তির জেলে কাটালেন তাঁরা।
জেল সুপারিন্টেনডেন্ট বীরেশরাজ শর্মা জানিয়েছেন, সারা রাত দু’চোখের পাতা এক করেননি রাজেশ-নূপূর। ভোররাত পর্যন্ত ঠায় বসে উপন্যাস পড়েছেন। এক টুকরো খাবারও মুখে তোলেননি গত ২৪ ঘণ্টায়। জেলের ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, তলবার দম্পতি ‘ইনসোমনিয়া’-র শিকার। চোখে,
মুখে উদ্বেগের ছাপ স্পষ্ট। রক্তচাপও বেশ বেশি।
বুধবার সকাল হতেই দু’জনে তাঁদের আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে চান। পরে এক বিবৃতিতে তলবারদের আইনজীবী জানান, সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে ইলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন জানাবেন তাঁরা। “রক্তের শেষ বিন্দু পর্যন্ত লড়ে যাব,” বললেন তিনি। রাজেশের ভাই দীনেশ তলবার জানান, আরুষি-হেমরাজ হত্যাকাণ্ডে হাইকোর্টে আপিল করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ হাতে রয়েছে তাঁদের। ২০১০ সালে তথ্য প্রমাণের অভাবে সিবিআই যখন আরুষি-হেমরাজ মামলা বন্ধ করতে চেয়েছিল তখন রাজেশ-নূপুরই তার বিরোধিতা করে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার আর্জি জানান। দীনেশের আক্ষেপ, আজ তারই ফল ভুগতে হচ্ছে ওঁদের। দীনেশ এ দিন আবারও বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস, রাজেশরা পুরোপুরি নির্দোষ।”
তবে আইন বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যে পথে আরুষি-হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে, ঠিক সে পথেই এর আগে আরও ১৭টি মামলার নিষ্পত্তি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাঁদের মত, সুপ্রিম কোর্টের সেই সব রায়ের উপর ভিত্তি করেই পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য প্রমাণের বিচারে তলবার দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন শ্যাম লাল।
প্রসঙ্গত, রায় ঘোষণার সময় গত কালই শ্যাম লাল বলেছিলেন, “সব অপরাধের ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট কোনও উদ্দেশ্য থাকবে এমনটা নয়। অপরাধীর মনে কী চলছে তা বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। এ দিন হেমরাজের স্ত্রী-ও এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “এত দিনে সুবিচার মিলল।”

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.