|
|
|
|
|
ভারতের হার নয়, টেনশন
আজ যুবরাজের ভাগ্য নিয়ে
দীপ দাশগুপ্ত |
|
বিশাপত্তনমে দুপুরে ধোনি টস হারার পর একটা আশঙ্কা হচ্ছিল। রাতে দেখলাম, সেটাই মিলে গেল!
অন্ধ্রপ্রদেশে যা অবস্থা এখন, তাতে রান ডিফেন্ড করার চেয়ে কঠিন আর কিছু নেই। ভিজে মাঠ, শিশির-ফ্যাক্টর সব কিছুকে ধরলে প্রথম ব্যাট করে ম্যাচ জিতে বেরনো কঠিন, খুব কঠিন। ওয়ান ডে-তে নতুন বল নিয়ে নিয়ম আমদানির পর আজ পর্যন্ত দেখিনি, কোনও ম্যাচে ছ’বার বল বদল হচ্ছে! বিশাখাপত্তনমে রবিবার যা হল। অশ্বিনের মতো দু’একজনকে বাদ দিলে বাকি ভারতীয় বোলারদের অবস্থা দেখলেই বোঝা যাবে ওদের এ দিন কতটা ভুগতে হল। তবে ধোনির টিমকে দেখে রবিবার ক্লান্ত মনে হল। একটা সময় চার বলের মধ্যে তিনটে ক্যাচ পড়েছে, ভুবনেশ্বর কুমারকে দেখলাম টানা লেগস্টাম্পের বাইরে ফেলে যাচ্ছে। আর এই ক্যারিবিয়ান টিম টেস্টে যত খারাপ, ছোট ফর্ম্যাটে তত ভাল। তবে ড্যারেন স্যামি না থাকলে এ দিনও বোধহয় ওরা জিততে পারত না। মাত্র চার রান চাই, হাতে দেড় ওভার এমন অবস্থাতেও দেখলাম টিমটা টেনশনে পড়ে গেল। |
ভুবির মুখে যেন ফুটে উঠেছে ভারতীয় বোলিংয়ের হতাশা।
|
চলতি ওয়ান ডে সিরিজটা নিয়ে অনেককেই বলতে শুনছি, এটা করার কী মানে? ক্রিকেটীয় দিক থেকে সিরিজটা কত গুরুত্বপূর্ণ বলতে পারব না। তবে মনে রাখতে হবে, এই সিরিজটার পরেই ভারত উড়ে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দু’টো টেস্ট, তিনটে ওয়ান ডে আছে। শুনলাম সোমবার বডোদরায় দু’টোরই টিম হয়ে যাবে। রবিবার যা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা একদিন পিছিয়ে দেওয়ার মানে, নির্বাচকরা দেখে নিতে চাইলেন এ দিন পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে এবং ঘরোয়া রঞ্জিতে কার কী পারফরম্যান্স।
টেস্ট টিম নির্বাচনে কী হতে পারে না পারে, পরে আসছি। ওয়ান ডে টিম নির্বাচনে যুবরাজের জায়গাটা নিয়েই মনে হয় প্রবল কথাবার্তা হবে। খেয়াল করলে দেখবেন, চলতি সিরিজে যুবরাজকে চার নম্বরে খেলানো হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে যেখানে রায়না খেলছিল। কিন্তু ওই সিরিজ থেকেই যুবরাজের ফর্ম খুব খারাপ। একটাও হাফসেঞ্চুরি নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে কোচি ম্যাচে নট আউট ছিল, কিন্তু ওর ব্যাটিং দেখে খুব ভরসা পাইনি। এ দিন করল ২৮। যুবরাজ সে ভাবে বোলিংটাও করছে না। বিশ্বকাপ জয়ের সময় যে যুবির বোলিং টিমের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল, তাকে এখন বলই দেওয়া হচ্ছে না। জানি না ওর চোট আছে কি না। না থাকলে বুঝতে হবে, ধোনির ভরসা নেই। সেটা হলে নির্বাচনী বৈঠকে যুবরাজের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তার কারণ আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট ওয়ান ডে-তেও পাটা হবে না। সেখানে যদি যুবির বদলে টেকনিক্যালি পোক্ত পূজারাকে নেওয়া হয়, অবাক হব না। |
দুই অধিনায়ক। শেষ হাসি হাসলেন ডোয়েন ব্র্যাভো।
|
বরং অবাক হব টেস্ট সিরিজে জাহির খান আর গৌতম গম্ভীরকে না নেওয়া হলে। রঞ্জির কমেন্ট্রি করতে গিয়ে দিল্লির এক নির্বাচকের কাছে শুনছিলাম, গম্ভীর যেখানে দেড়শো করেছে, সেটা গ্রিন টপ। ভারত ‘এ’ দলের হয়েও দু’টো সেঞ্চুরি পেয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে রিজার্ভ ওপেনারের স্লটে গম্ভীরের ঢুকে পড়া উচিত। আর চতুর্থ বা পঞ্চম পেসার হিসেবে জাহিরকে নেওয়া উচিত এই কারণে যে, ভুবি বা শামির মতো বাকি পেসাররা অনভিজ্ঞ। জাহির এখন শুধু উইকেটই তুলছে না, ওর ফিটনেসও ভাল হয়েছে। যা শুনছি, পাঁচ জন পেসার যাবে। ইশান্তও ঢুকবে মনে হয়। আর সহবাগ? ‘ইন্সপিরেশনাল সিলেকশন’ না হলে অসম্ভব!
ঠিক তেমনই বিরাট কোহলিকে আবার দেখছি গোটা টিমটার ‘ইন্সপিরেশন’ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কোচিতে ৮৬ করে ভিভ রিচার্ডসের দ্রুততম পাঁচ হাজার রানের রেকর্ড ছুল। এ দিন করল ৯৯! হাফসেঞ্চুরির কমে তো কিছু বেরোচ্ছেই না বিরাটের ব্যাট থেকে। আজ দল নির্বাচনে যুবরাজ-গম্ভীরদের কী হবে, সময় বলবে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতের এক নম্বর বাজি যে বিরাটই হচ্ছে, তার জন্য অপেক্ষার দরকার নেই।
|
|
পুরনো খবর: কোহলিদের দেখে শিখুক ব্র্যাভোরা |
ছবি: পিটিআই। |
|
|
|
|
|