টাটকা খবর
মরসুমের প্রথম ডার্বিতে জয় ইস্টবেঙ্গলের
ইস্টবেঙ্গল: ১ (লালরিন্দিকা)
মোহনবাগান: ০
আই লিগের হাই ভোল্টেজ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে জয় এনে দিলেন লালরিন্দিকা। ৭৩ মিনিটের মাথায় বাঁ পায়ের জোরালো শটে বল গোলে জড়াতেই গর্জে উঠলেন যুবভারতীর লালহলুদ সমর্থকেরা। প্রথম ডার্বির ম্যান অফ দ্য ম্যাচও তিনি।
রবিবারের বিকেলে খেলা শুরুর প্রথম থেকেই সমানে-সমানে লড়াই হলেও শেষ হাসি হাসলেন লাল-হলুদের ফুটবলাররা। ম্যাচ শেষে লাল-হলুদ কোচ তাঁর পূর্বসূরী ফালোপাকে মরসুমের প্রথম ডার্বি জয় উত্সর্গ করেন।
যুবভারতীতে মরসুমের প্রথম ডার্বিতে আজ মুখোমুখি হয় ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। আই লিগের এই বড় ম্যাচকে ঘিরে শহর জুড়ে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। তারুণ্য বনাম অভিজ্ঞতার এই ম্যাচে শেষ হাসি কে হাসবে, গত কয়েক দিন ধরে তা নিয়েও জল্পনার শেষ ছিল না ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। ফালোপা কোচের পদ ছাড়ার পর লাল-হলুদের দায়িত্ব নিয়েছেন আর্মান্দো কোলাসো। ইস্টবেঙ্গল কোচ হিসাবে মরসুমের প্রথম ডার্বি ম্যাচে নিজের সমস্ত অভিজ্ঞতা উজাড় করে দিতে চাইছিলেন তিনি। কারণ, ডার্বি মানেই সমর্থকদের পাহাড়প্রমাণ প্রত্যাশা। শনিবার আই লিগের এই ম্যাচ প্রসঙ্গে কোলাসোর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘ডার্বি তো কী? হেরে গেলে কি পৃথিবীটা থেমে যাবে?’’
এ দিকে, চোট সারিয়ে মরসুমের সবুজ-মেরুনের জার্সিতে প্রথম ম্যাচে নামেন ওডাফা। গোলের খরা কাটাতে আজ মরিয়া ছিলেন তিনি। অপর দিকে, শেষ ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন চিডিও। ম্যাচের শুরুতে দু’দলই বেশ আক্রমণাত্মক ছিল। ম্যাচের ছয় মিনিটের মাথায় ওডাফা গোল করার সুযোগ পান। কিন্তু তত্পরতার সঙ্গে আটকে দেন ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক অভিজিত্ মণ্ডল। এর পর আরও এক বার সহজ সুযোগ পেয়েও, তা গোলে পরিণত করতে ব্যর্থ হন ওডাফা। একই অবস্থা মোহনবাগানের অন্যান্য খেলোয়াড়দেরও। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য গোলে বল ঠেলে জয় ছিনিয়ে নিল ইস্টবেঙ্গল।

কুণালকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত

রবিবার সকালে বিধাননগর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় তৃণমূলের সাসপেন্ড হওয়া রাজ্যসভার সাংসদ কুণাল ঘোষকে। তাঁকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ২৯ নভেম্বর ফের তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে।
শনিবার গ্রেফতারের পর রবিবার ভোর পৌনে পাঁচটা নাগাদ কুণালকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর রাজা রামমোহন রায় স্ট্রিটের বাড়িতে প্রায় পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট তল্লাশি চালায় গোয়েন্দা দফতরের অফিসাররা। সেখান থেকে কম্পিউটারের সিপিইউ বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা। ফের কুণালকে নিয়ে আসা হয় দক্ষিণ বিধাননগর থানায়।
আদালতে যাওয়ার পথে কুণাল। ছবি: শৌভিক দে।
তারপর এ দিন সকাল সওয়া ১০টা নাগাদ তাঁকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বিধাননগর মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। শুনানির আগে কুণালকে বেশ কিছু ক্ষণের জন্য কোর্ট লকআপে রাখা হয়। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিট নাগাদ এসিজেএম অপূর্ব কুমার ঘোষের এজলাসে শুনানি শুরু হয় তাঁর। কুণালের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করলেও তা খারিজ করে দেন বিচারক। শুনানি শেষে দুপুর ১টা ৫০ মিনিট নাগাদ কড়া নিরাপত্তায় তাঁকে ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
শুক্রবারই তিনি সাংবাদিক বৈঠকে গ্রেফতারের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। সেই আশঙ্কাকে সত্যি করেই তাঁকে শনিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করে বিধাননগর পুলিশ। এ দিকে, গ্রেফতারির পরেই শনিবার রাতে কুণালের ফেসবুকে ১২ জনের নাম প্রকাশ করার বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এ বিষয়ে কুণালের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে।

দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরাল ওঃ ইন্ডিজ
জোরদার লড়াই করে সিরিজে সমতা ফেরাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ! জয়ের জন্য ২৮৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে খেলতে নেমে দলের ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা। কিন্তু পাওয়েল ও ড্যারেন ব্রাভোর দায়িত্বশীল অর্ধশতরানের ফলে লড়াইয়ে ফেরে তারা। নিয়মিত উইকেট পড়লেও সিমন্সের ৬২ ও স্যামির অপরাজিত ৬৩ রানের ফলে তিন বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর জয়ের ফলে সিরিজ জিততে শেষে ম্যাচে যে দু’পক্ষই মরিয়া চেষ্টা করবে, তা বলাই বাহুল্য। ব্যাটে-বলে সাফল্যে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হলেন ড্যারেন স্যামি।
আজ ভারতীয় ইনিংসকে প্রায় একার হাতে টানলেও স্বপ্নভঙ্গ হল কোহলির! শতরান থেকে মাত্র এক রান দূরে ৯৯-এ থামতে হল তাঁকে। কিন্তু প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে দলকে সুবিধাজনক অবস্থায় নিয়ে যান তিনি। একশো বলে করা তাঁর ৯৯ রানের (৯x ৪, স্ট্রাইক রেট ৯৯.০০) ঝকঝকে ইনিংসে দিয়ে ফের মিডল অর্ডারে তাঁর নির্ভরযোগ্যতার স্বাক্ষর রাখলেন কোহলি।
কোচিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হেলায় উড়িয়ে সিরিজে ১-০ এগোলেও আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নারাজ ধোনিবাহিনী। রবিবার বিশাখাপত্তনমে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নেই বিপজ্জনক ক্রিস গেল। গত ম্যাচে চোট পেয়ে এর আগেই দেশে ফিরে গেছেন তিনি। তাঁর অনুপস্থিতিতে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জিতে সিরিজ পকেটে পুরতে চায় ভারত। টসে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ডোয়েন ব্র্যাভোর প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্তে অবশ্য খুব অস্বস্তিতে নেই মাহি। টসের পর সে কথা স্বীকারও করেন তিনি। সন্ধের দিকে মাঠে শিশির-ফ্যাক্টর আর রান তাড়া করার ভারতের রেকর্ড মাথায় রাখলে, খুব একটা অসুবিধা হওয়ার কথাও নয় মাহির দলের, মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।

অর্ধশতরানের পর বিরাট কোহলি। ছবি: পিটিআই।
আজকের ম্যাচে চোটগ্রস্ত ক্রিস গেল ছাড়া প্রথম একাদশে আরও একটি পরিবর্তন করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্পিনার দেওনারায়ণের জায়গায় দলে এসেছেন পারমল। গেল-এর পরিবর্ত কায়রন পোলার্ডের সামনে ফের নিজেকে প্রমাণ করার সুবর্ণ সুযোগ আজ। অপর দিকে, ধোনিবাহিনীর নয়া সদস্য মোহিত শর্মা খেলবেন পেসার উনাদকটের জায়গায়।
আজ দিনের শুরুতে প্রথম পনেরো ওভারের মধ্যেই ওপেনারদের হারিয়ে কিছুটা বেকায়দায় পড়লেও কোহলির ব্যাটে ভর করে স্বস্তি পায় ভারত। ৪.৫ ওভারেই রামপলের বলে স্যামিকে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১২ রানে আউট হন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রোহিত শর্মা। এর পর শিখর ধবন কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা করলেও ১৩,২ ওভারে তাঁকে ফেরান পারমল। এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ৯৪.৫৯ স্ট্রাইক রেটে ধবনের সংগ্রহ ৩৭ বলে ৩৫ রান (৫x৪)। মাঝের ওভারগুলিতে বিরাট কোহলির সঙ্গে জুটিতে ইনিংস সামলান যুবরাজ সিংহ। কিন্তু ব্যক্তিগত ২৮ রানে তাঁকে ফেরান স্যামি। টেল এন্ডারদের নিয়ে ফের একটা দামি ইনিংস খেললেন অধিনায়ক ধোনি। ৪০ বলে করা তাঁর ৫১ রানের (৩x৪, ৪x৬) জন্যই ভারত শেষ পর্যন্ত ইনিংস শেষ করে ২৮৮ রানে।
ভারত
(৫০ ওভারে ২৮৮)
রোহিত ক স্যামি বো রামপল ১২
ধবন এলবিডব্লিউ বো পারমল ৩৫
কোহলি ক হোল্ডার বো রামপল ৯৯
যুবরাজ ক স্যামুয়েলস বো স্যামি ২৮
রায়না ক ডোয়েন ব্রাভো বো রামপল ২৩
ধোনি ন.আ. ৫১
জাডেজা বো রামপল ১০
অশ্বিন ক চার্লস বো হোল্ডার ১৯
ভুবনেশ্বর কুমার ন.আ. ১।
অতিরিক্ত ১০।
মোট ৫০ ওভারে ২৮৮।
পতন: ২১, ৬৯, ১৩৮, ২০৩, ২০৯, ২৪০, ২৮৭।
বোলিং: রামপল ১০-০-৬০-৪, হোল্ডার ১০-০-৬৩-১,
ব্র্যাভো ৮-০-৫৪-০, পারমল ১০-০-৫৫-১, নারিন ১০-২-৩৯-০,
স্যামি ১-০-১১-১, সিমন্স ১-০-৫-০।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ
২৮৯/৮
(৪৯.৩ ওভার পর্যন্ত)
চার্লস ক ও বো কুমার ১২
পাওয়েল ন.আ. ৫৯
স্যামুয়েলস ক ধোনি বো মোহিত ৮
ড্যারেন ব্রাভো ক ধোনি বো অশ্বিন ৫০
সিমন্স এলবিডব্লিউ বো জাডেজা ৬২
ডোয়েন ব্রাভো ক ধবন বো কুমার ১৮
স্যামি ন.আ. ৬৩
হোল্ডার ক ধোনি বো শামি ০
পারমল ন.আ. ০
অতিরিক্ত ১০।
মোট ৪৯.৩ ওভারে ১৮৮।
পতন: ১৪, ২৩, ১২৩, ১৪৭, ১৮৫।
বোলিং: ভুবনেশ্বর ৯-১-৫৬-২, মোহিত ৬.৩-০-৪৮-১,
শামি ৭-০-৫৫-২, অশ্বিন ১০-১-৩৭-২,
রায়না ৭-০-৪২-০, জাডেজা ১০-১-৪৪-১

গাব্বায় জয় অজিদের
গাব্বায় ইংরেজবাহিনীকে দুরমুশ করে অ্যাসেজে ১-০ এগিয়ে গেল ব্যাগি গ্রিনরা। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে ধস নামায় মিচেল জনসন। দুই ইনিংসে মোট ৯ উইকেট এবং যথাক্রমে ৬৪ ও ৩৯ রান করেন তিনি। জনসনকে যোগ্য সঙ্গত দেন রায়ান হ্যারিস ও লিঁয়। এই ত্রিমুখী আক্রমণে প্রথম থেকেই নাস্তানাবুদ ইংরেজবাহিনী। শনিবার দ্বিতীয় ইনিংস শেষে অজিরা ইংল্যান্ডের কাছে রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখে ৫৬১। গতকাল ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ২৪/২। ট্রট ও ক্যারবেরি ফিরে যাওয়ার পর রবিবার খেলার চতুর্থ দিনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অ্যালিস্টার কুক ও ইয়ান বেল। সঙ্গ দেন পিটারসেনও।

লিঁয়-র বলে আউট
হয়ে ফিরে যাচ্ছেন কুক।

ইংল্যান্ডের শেষ উইকেট তুলে নেওয়ার
পর জনসনের জয়োল্লাস।
ছবি: এ এফ পি।
চা বিরতি পর্যন্ত এই তিন জনের ব্যাটে ভর করে ৬০তম ওভারে ইংল্যান্ডের স্কোর পৌঁছয় ১৪২/৪। ৬১তম ওভারে ১৯৫ বলে ব্যক্তিগত ৬৫ রান করে লিঁয়-র বলে ক্যাচ আউট হন কুক। তার পর থেকে আর কোনও ব্যাটসম্যানই দাঁত ফোটাতে পারেনি অজিদের বিরুদ্ধে। চা বিরতির পর ইংল্যান্ড আরও ৪ উইকেট হারানোয় অজিদের জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। স্কোরবোর্ডে তখন ১৬০/৮। জয় যখন দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে, বাধ সাধল বৃষ্টি। দিনের ৭২তম ওভারে সাময়িক বন্ধ রাখা হয় ম্যাচ। ফের খেলা শুরু হলে জো রুট-ট্রেমলেট যুগল ইংল্যান্ডের স্কোর পৌঁছে দেয় ১৭২ রানে। ব্যক্তিগত ৭ রান করে হ্যারিসের বলে বেইলির হাতে ধরা দেন ট্রেমলেট। ক্রিজে তখনও লড়ে যাচ্ছিলেন জো রুট। ট্রেমলেটের পর ক্রিজে আসেন অ্যান্ডারসন। তাঁকে আউট করে ইংরেজবাহিনীর কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন সেই মিচেল জনসন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট ৩৮১ রানে জিতে নিল অজিরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া: ২৯৫ ও ৪০১/৭ ডি:
ইংল্যান্ড: ১৩৬ ও ১৭৯ (৮১.১ ওভার)
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ: মিচেল জনসন
৩৮১ রানে প্রথম টেস্ট জিতে অ্যাসেজ সিরিজে ১-০ এগোল অস্ট্রেলিয়া

লেবার রুমের পাশের ঘরে আগুন, হাসপাতালে প্রসব হল টর্চ জ্বেলে
শনিবার গভীর রাতে পুরুলিয়ার মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতালের লেবার রুমের পাশের ঘরে আগুন লাগল। ঘটনায় যদিও কেউ হতাহত হননি। তবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ওই হাসপাতালের লেবার রুমের পাশের ঘরটিতে তখন কয়েক জন অন্তঃসত্ত্বা ঘুমিয়ে ছিলেন। নবজাতককে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন কয়েক জন প্রসূতিও। তাঁদেরই এক জন হঠাৎ ওই ঘরের দরজা দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখেন। বাকিদের ঘুম ভাঙিয়ে সবাই মিলে হাসপাতালের বাইরে চলে আসেন। এর পর হাসপাতাল কর্মী ও রোগীর আত্মীয়দের চেষ্টায় আধ ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বিপদ এড়াতে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় হাসপাতালের বিদ্যুৎ সংযোগও। ঘুটঘুটে অন্ধকারে দুর্ভোগ আরও বাকি ছিল। ঘটনার পর পরই প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় দুই অন্তঃসত্ত্বার। লেবার রুমে রীতিমতো টর্চের আলো জ্বেলে কোনও রকমে ওই দু’জনের প্রসবের ব্যবস্থা করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের অনুমান, শর্টসার্কিট হয়ে আগুন লাগে ফিউজ বক্সে।
প্রশিক্ষণের জন্য বাইরে আছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অরুণাভ ঘোষ। ফোনে বলেন, “আমি সবে দায়িত্বে এসেছি। ফিরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।” হাসপাতালের এই বেহাল অবস্থার কথা জানতেন না বলে দাবি করেছেন মানবাজারের তৃণমূল বিধায়ক তথা ওই হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন সন্ধ্যারানি টুডু। তিনি বলেন, “শনিবার রাতে একটা ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটতেই পারত। রোগীকল্যাণ সমিতির পরের বৈঠকেই হাসপাতালের বিদ্যুতের হাল দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।” পুরুলিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, “প্রতি বছর বর্ষার পরেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হয়। এ বারও তাই হচ্ছিল। কিন্তু ওই ঘরের পাশে ড্যাম্প থাকায় মনে হচ্ছে শর্ট সার্কিট হয়েছে। আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.