|
|
|
|
এটিএম হামলায় আটক ১, পুরস্কার ঘোষণা পুলিশের
সংবাদ সংস্থা • বেঙ্গালুরু |
এটিএমে হামলার পরে ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও দুষ্কৃতীকে ধরতে পারেনি পুলিশ। তবে বেঙ্গালুরুর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার জ্যোতি উদয়ের মোবাইল ছিনতাই করে যে লোকটিকে বিক্রি করেছিল আততায়ী, তার খোঁজ মিলেছে। অন্ধ্রপ্রদেশের হিন্দপুর থেকে গত কাল রাতেই ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পুলিশ আজ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করছে।
কর্নাটকের ডিজিপি লালরোখুমা পাচাউ জানিয়েছেন, এই লোকটি কিন্তু প্রকৃত অপরাধী নয়। আততায়ীকে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
জ্যোতি উদয়ের উপর হামলা চালিয়ে মোবাইলটি নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতী। পরে সে সেটি হিন্দপুরের লোকটিকে বেচে দেয়। জ্যোতির মোবাইল খুঁজে বের করতে গিয়েই লোকটিকে ধরে পুলিশ। আর এটিএমে হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে পারলে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছে কর্নাটক পুলিশ।
এটিএমে নৃশংস হামলার জেরে বেঙ্গালুরুতে বিভিন্ন মহলে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধছে। কারণ প্রযুক্তির এই শহরে এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম বার ঘটল, এমন নয়। বিশেষ করে যে এটিএমে জ্যোতিকে হামলার শিকার হতে হয়েছে, সেই একই এটিএমে কয়েক মাস আগে এক গ্রাহকের উপরে ডাকাতের চড়াও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তাতে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বা পুলিশের টনক নড়েনি। তা ছাড়া, গোটা এটিএম মেশিনটাই তুলে নিয়ে ট্রাকে করে ডাকাত দলের চম্পট দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল এ শহরেই। গত বছর ওই দলটি অবশ্য ধরা পড়ে। তার পরেও অরক্ষিত এটিএমে হামলা ঘটছেই। গত কাল তড়িঘড়ি রক্ষীবিহীন এটিএমে নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েনে সরকারি নির্দেশ জারি হলেও তাতে বেঙ্গালুরুর কোনও ব্যাঙ্কই কান দেয়নি বলে অভিযোগ পুলিশের।
এটিএমে হামলার ঘটনা শুনে আইনজীবী এবং ভারতের প্রাক্তন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কে এন ভট্ট জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কের কাছ থেকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাইতে পারেন জ্যোতি। তাঁর কথায়, “আক্রান্ত মহিলা ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রচুর টাকা দাবি করতে পারেন।”
|
পুরনো খবর: রক্ষিহীন এটিএম অবিলম্বে বন্ধে সরকারি নির্দেশ |
এই সংক্রান্ত অন্য খবর
• অরক্ষিত এটিএমের
উপরে নজরদারি
বাড়াবে পুলিশ
• অরক্ষিত এটিএমে ক্যামেরায় ঘোলা ছবি
|
|
|
|
|
|