|
|
|
|
সংঘর্ষে অভিযুক্ত দুই বিধায়ককে সংবর্ধনা বিজেপির |
সংবাদ সংস্থা • আগরা |
বিরোধীরা তো সরব ছিলেনই, আপত্তি উঠেছিল দলের অন্দরেই। কিন্তু তার পরেও মুজফ্ফরনগরের গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িত অভিযোগে ধৃত দুই দলীয় বিধায়ক সঙ্গীত সোম ও সুরেশ রানাকে আজ সংবর্ধনা দিলেন স্বয়ং বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহ। এ দিনই আগরায় সভা করেছেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী। তার কিছু আগেই ওই দু’জনকে সংবর্ধনা দিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব বুঝিয়ে দিলেন, এ বিষয়ে অন্য দলগুলির সমালোচনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তাঁরা।
ধৃত দুই বিধায়ককে সংবর্ধনা দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কংগ্রেস জানিয়েছে, বিজেপি দেশে ঘৃণার রাজনীতি আমদানি করছে। সমালোচনা করেছে রাজ্যের শাসক সমাজবাদী পার্টিও। দলের বক্তব্য, এটাই গেরুয়া দলের সংস্কৃতি।
মুজফ্ফরনগরের ঘটনায় দল পাশে দাঁড়ালেও সুরেশ অবশ্য স্বস্তিতে নেই। কারণ অন্য একটি ঘটনায় বুধবার তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। অভিযোগ, ১৬ জুন একটি গণধর্ষণের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে সুরেশ এবং তিন বিজেপি কর্মী দোকানপাট ও গাড়ি ভাঙচুর করেন। সেই কারণে চার জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দাখিল করা হয়েছে।
এ দিন সংবর্ধনার বিষয়টিকে সমর্থন করে বিজেপি নেতা কলরাজ মিশ্র বলেন, “অপমান করতেই মুজফ্ফরনগরের ঘটনায় আমাদের দুই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু কোর্ট জামিন দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে, সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।” বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহের দাবি, পুরো ঘটনার জন্য রাজ্য সরকার দায়ী। আমাদের দুই বিধায়ক এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই জড়িত নন। মুখ বাঁচাতে অখিলেশ সরকার তাঁদের ধরেছিল। উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি বিজয় বাহাদুর পাঠকের অভিযোগ, রাজ্য সরকার মুজফ্ফরনগর কাণ্ডে সত্য গোপন করতে চাই।
এই সংবর্ধনা-পর্বের কিছু পরে সভায় আসেন মোদী। সভায় কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বলেন, “কংগ্রেস হচ্ছে ঘুণপোকার মতো। তাই দেশকে উন্নতির পথে আনতে বিজেপি-কে ক্ষমতায় নিয়ে আসুন।” সপা এবং বসপাকেও এ দিন নিশানা করতে ছাড়েননি মোদী। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রসের মতো সপা, বসপাও ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে ব্যস্ত।
|
পুরনো খবর: গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তাল মুজফ্ফরনগর, নিহত ২৬ |
|
|
|
|
|