|
|
|
|
গোষ্ঠী সংঘর্ষ রুখতে তৎপরতার দাওয়াই
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
অঙ্কুরেই বিনাশ কর। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রমবর্ধমান গোষ্ঠী সংঘর্ষ রুখতে রাজ্য পুলিশের ডিজিদের আজ এই নির্দেশই দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
ইউপিএ-নেতৃত্ব মনে করছে, নরেন্দ্র মোদী বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন রাজ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা বাড়তে শুরু করেছে। গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় ভোটের মেরুকরণ হবে, যাতে আখেরে লাভ হবে বিজেপির। মোদীর মোকাবিলায় তাই গোষ্ঠী সংঘর্ষ রোখার কথা বলে সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়াতে চাইছে ইউপিএ সরকার।
আজ রাজ্য পুলিশের ডিজি-দের সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে বলেন, “উত্তরপ্রদেশের ঘটনা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, মামুলি ঘটনা থেকে গোষ্ঠী সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ-প্রশাসন দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপ করলে খুব সহজেই তা রোখা যেত।” একই বক্তব্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান আসিফ ইব্রাহিমেরও। তিনি বলেন, “অভিজ্ঞতা বলছে, সব ক্ষেত্রেই স্থানীয় পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিলে গোষ্ঠী সংঘর্ষ রোখা যেত।” ইব্রাহিমের উদ্বেগ, স্পর্শকাতর এলাকাগুলির পাশাপাশি আগে যে সব গ্রামীণ এলাকা শান্তিপূর্ণ বলে পরিচিত ছিল, সেখানেও এখন গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শিন্দের দাওয়াই, “স্থানীয় প্রশাসনকে সব সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে হবে।”
পাশাপাশি সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে গুজব ও উস্কানিমূলক এসএমএস, ভিডিও ছড়ানোর উপরেও নজর রাখতে চাইছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা-প্রধানের বক্তব্য, “সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার পিছনে উস্কানিমূলক ভিডিওই প্রধান কারণ হিসেবে উঠে আসছে।” শিন্দের বক্তব্য, সরকার বাক্স্বাধীনতার পক্ষে। কিন্তু সোস্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার হলে সেটাও রুখতে হবে। কারণ শুধু গোষ্ঠী সংঘর্ষ নয়, পঞ্জাবে নতুন করে জঙ্গি-আন্দোলন গড়ে তুলতেও সোস্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগানো হচ্ছে। তিন দিনের ডিজি-সম্মেলনে তাই গোষ্ঠী সংঘর্ষ, সোস্যাল মিডিয়ায় নজরদারি নিয়ে পৃথক আলোচনা হবে।
|
|
|
|
|
|