পুলিশ বা জেল হেফাজতে থাকলে ভোটে লড়া নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। আজ শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই জনপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধন করেছে কেন্দ্র। তাই কেন্দ্রের ওই আর্জি নিয়ে কথা বলার আর প্রয়োজন নেই। ওই সংশোধনীর সাংবিধানিক বৈধতা পরে আলাদা ভাবে বিচার করবে আদালত।
গত ১০ জুলাই একটি রায়ে বিচারাধীন ও দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের ভোটে লড়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল শীর্ষ আদালত। ২ বছরের বেশি সাজা হলে সাংসদ বা বিধায়কের সদস্যপদ খারিজেরও নির্দেশ দিয়েছিল কোর্ট। জেল বা পুলিশ হেফাজতে থাকা বিচারাধীন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ভোটে লড়ায় নিষেধাজ্ঞার যুক্তি হিসেবে কোর্ট জানায়, জেল বা পুলিশ হেফাজতে গেলে কোনও ব্যক্তি ভোট দিতে পারেন না। তাই তাঁর ভোটে লড়ারও অধিকার নেই।
এর পরেই জনপ্রতিনিধিত্ব আইন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। প্রথমে যে বিল এসেছিল তাতে দোষী সাব্যস্ত এবং বিচারাধীন রাজনীতিকদের উভয়কেই ভোটে লড়ার অধিকার দেওয়া হয়। কিন্তু পরে রাহুল গাঁধীর আপত্তিতে সাজাপ্রাপ্ত সাংসদ-বিধায়কদের অংশটি বাতিল হয়। অতএব, সংসদে ‘জনপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধনী ও বৈধতা) ২০১৩’ নামে যে বিল আসে তাতে জেল ও পুলিশ হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের ভোটে লড়ার বাধা দূর করা হয়। কেন্দ্র বিলে জানায়, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ভুল। কারণ, জেল বা পুলিশ হেফাজতে গেলে কোনও ব্যক্তির ভোট দেওয়ার অধিকার সাময়িক ভাবে খর্ব হয়। পুরোপুরি শেষ হয় না। তাই তাঁদের নির্বাচনে লড়ার অধিকারও ছিনিয়ে নেওয়া যায় না। কেন্দ্র জানায়, এই ভুল রায় ঠিক করা আইনসভার সাংবিধানিক কর্তব্য। বিলটি সংসদে দ্রুত পাশও হয়। পাশাপাশি রায় পুনবির্বেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টেও আর্জি জানানো হয়।
আজ বিচারপতি এ কে পট্টনায়ক ও বিচারপতি এস জে মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চ জানায়, সংশোধনী আনার পর এই আর্জির কোনও অর্থ নেই। এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইতিমধ্যেই ওই সংশোধনীর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছে। বেঞ্চ জানায়, আলাদা ভাবে ওই মামলার বিচার হবে।
|