এক জন সরাসরি অভিযোগ তুলেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে। তার পরে আরও এক জন ওই প্রাক্তন বিচারপতিকেই একই কারণে অভিযুক্ত করেন। এ বার তাঁদের মতোই যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছেন আর এক মহিলা আইনজীবী। তবে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হওয়ার পরে প্রথম ওই ইনটার্ন জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর ওই মামলা চালাতে চান না।
আড়াই ঘণ্টা ধরে ওই কমিটির সঙ্গে কথা হয় ইনটার্নের। প্রথমে এ বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। পরে আইনজীবীদের একটি সূত্রের তরফে জানা যায়, প্রাক্তন ওই বিচারপতি ইনটার্নকে হেনস্থা করলেও তাঁর বিরুদ্ধে তিনি মামলা চালিয়ে যেতে আগ্রহী নন। কিন্তু কেন? ইনটার্ন জানিয়েছেন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে অসুবিধেয় ফেলার জন্য তিনি গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন, এমন নয়। বরং তিনি চেয়েছিলেন, সমাজের উঁচু স্তরে কী ঘটে সেটা সাধারণ মানুষ জানুক। আগামিকাল ফের বিবৃতি দিতে কমিটির মুখোমুখি হতে হবে তাঁকে।
এ দিন নতুন অভিযোগটি জানিয়েছেন এক মহিলা আইনজীবী। এক সিনিয়র অ্যাডভোকেট দীর্ঘ সময় ধরে তাঁকে হেনস্থা করেছেন দাবি করে আইন সংক্রান্ত ওই একই ব্লগেই লিখেছেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা।
এই আইনজীবীর দাবি, তাঁর সঙ্গে কাজ বন্ধ করে দিলেও অ্যাডভোকেট কিন্তু তাঁকে বিরক্ত করেই গিয়েছেন।
বর্তমানে কলম্বিয়া ল স্কুলে পাঠরত ওই আইনজীবী বেশ কয়েক বছর আগে যৌন হেনস্থার শিকার হন। তা হলে এত দিন পরে কেন তিনি মুখ খুললেন? তাঁর জবাব, “আমার তখন সাহস ছিল না। এখন বিষয়টি নিয়ে ব্লগে আলোচনা হচ্ছে জানতে পেরে আমার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছি।” তবে তাঁকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হয়েছিল, এমন নয়। কিন্তু ওই অ্যাডভোকেট প্রায়শই ফোনে বা এসএমএস বা ইমেলে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কথাবার্তা বলতেন। ফুল পাঠাতেন, ডিনারে ডাকতেন। মহিলা আইনজীবীর অভিযোগ, ওই সিনিয়র ছিলেন তাঁর বাবারই বয়সী। তাই তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেও পারতেন না তিনি। তাঁর বক্তব্য, “তখন দ্বিধায় ছিলাম। একে কি কেউ হেনস্থা বলবে?”
এই আইনজীবী অবশ্য ওই অ্যাডভোকেটের বিরুদ্ধে কোনও মামলা করতে চান না। তাঁর মতো একই ভাবে হেনস্থার শিকার হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের পাশে দাঁড়াতেই নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “কেউ যদি এগুলো ব্যতিক্রমী ঘটনা ভাবে, তা হলে ভুল করবে। এই ধরনের ঘটনা আকছার ঘটছে। আমার চেয়েও অনেকের আরও খারাপ অভিজ্ঞতা হয়। ওকালতি ব্যাপারটা যেন প্রভাবশালী পুরুষদের কাজের জায়গা। সেটাকে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না।”
|