|
|
|
|
এসজেডিএ কাণ্ডে তদন্ত নিয়ে ‘প্রশ্ন’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
অভিযুক্ত ইতিমধ্যেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন যে মামলায় তা উল্লেখ করেই অন্য অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সোমবার শিলিগুড়ির অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ঘটনাটি ঘটেছে। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ময়নাগুড়ি শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানোর কাজে দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল একটি ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার শঙ্কর পালকে। আইনজীবী অখিল বিশ্বাসের অভিযোগ, তাঁর মক্কেল ওই মামলায় ২৯ সেপ্টেম্বর জামিন পান। অন্য অপর কয়েকটি মামলায় তিনি এর পরেও জেল হেফাজতে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে অপর কোনও মামলায় গ্রেফতার দেখাতে হলে যে সমস্ত মামলায় অভিযুক্ত জেল হেফাজতে রয়েছেন তার কোনও একটি উল্লেখ করতে হয়। অথচ গত ৩১ অক্টোবর যখন জোড়াপানি নদী সংস্কারের কাজে অভিযোগ নিয়ে শঙ্করবাবুকে গ্রেফতার দেখানো হয় তখন ময়নাগুড়ি শ্মশানের মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। যা তদন্তকারী অফিসারের ভুল। এ ব্যাপারে প্রশ্ন ওঠায় আদালত ৭ নভেম্বর এ ব্যাপারে উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনবেন।
পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামন বলেন, “অভিযুক্ত জেল হেফাজতে রয়েছেন। তাঁকে অপর মামলায় গ্রেফতার দেখানোর সময় ভুলবশত সঠিক মামলার উল্লেখ হয়ত করা হয়নি। তবে এটা বড় সমস্যা নয়। অভিযুক্তকে যখন এর পর পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হল তখন তাঁর আইনজীবী বিষয়টি উল্লেখ করতে পারতেন।”
শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন প্রকল্পে অন্তত ৭০ কোটি টাকা আর্থিক দুর্নীতির মামলায় জেল হেফাজতে থাকা শঙ্কর পাল, মৃগাঙ্কমৌলি সরকার-সহ অন্যান্যদের জামিনের আবেদন এ দিন খারিজ করে দেয় আদালত। শিলিগুড়ির ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ওই নির্দেশ দেন। জোড়াপানি নদী খাতের সংস্কার কাজের জন্য এসজেডিএ’র বাস্তুকার মৃগাঙ্কবাবু এবং ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার শঙ্করবাবুকে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। এ দিন ফের ২ দিনের জন্য তাঁদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদনও করা হয়। তবে আদালত তা অনুমোদন করেনি। ১৪ দিন তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মহানন্দা অ্যাকশন প্ল্যানে নিকাশি তৈরি, বাগডোগরা, মালবাজার এবং ময়নাগুড়ি শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানোর কাজে ৫০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ পুলিশে দায়ের করা হয় এসজেডিএ’র তরফে। পরবর্তীতে জোড়াপানি নদী সংস্কারে মাটি কাটা এবং বাঁধ নির্মাণ, শিলিগুড়ি শহরে নিরাপত্তার স্বার্থে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর কাজে-ও দুর্নীতির অভিযোগ জানানো হয়। এসজেডিএ’র ৩ জন বাস্তুকার মৃগাঙ্কমৌলি সরকার, সপ্তর্ষি পাল, প্রবীণ কুমারকে গ্রেফতার করা হয়। ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার শঙ্কর পাল, অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ছেলে দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত দত্ত, অজয় মিত্র, তাপস বসু, ঠিকাদার সংস্থার কর্মী অমলকৃষ্ণ সাহাকে পুলিশ ওই সমস্ত বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার করে। শারীরিক অসুস্থর জন্য অজিতবাবুকেও আদালত জামিন দেয়। পুলিশ চার্জশিট এখনও না দিতে পারায় ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা কাণ্ডে ঠিকাদার সংস্খার কর্ণধার সুব্রত দত্ত-সহ কয়েকজন ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন। বাকিরা জেল হেফাজতে রয়েছেন। এ দিন তাঁদের আইনজীবীরা আদালতে জামিনের আবেদন করলেও তা খারিজ হয়।
|
পুরনো খবর: এসজেডিএ দুর্নীতি মামলা, জামিন নাকচ ঠিকাদারের |
|
|
|
|
|