|
|
|
|
ভোট কাছে আসতেই তরজা শুরু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
শিলিগুড়ি পুরসভার দু’টি ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচনের দিনক্ষণ এগিয়ে আসতেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে। রবিবার রাতে শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বিধান মার্কেট এলাকায় দলের প্রার্থী সৌরভ ভট্টাচার্যের প্রচারের ফ্লেক্স খুলে, প্রার্থীর ছবি ব্লেড দিয়ে কেটে দেওয়া হয়েছে বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। সোমবার দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে। যদিও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরসভার নির্বাচনী আধিকারিক তথা মহকুমা শাসক দীপাপ প্রিয়া এই প্রসঙ্গে বলেন, “কংগ্রেসের তরফে প্রথমে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল। পরে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |
|
কংগ্রেস প্রার্থী সৌরভ ভট্টাচার্যের ক্ষতিগ্রস্ত হোর্ডিং। —নিজস্ব চিত্র। |
পুরসভার সূত্রের খবর, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নান্টু পালের কাউন্সিলর পদ খারিজ হয়ে যেতেই রাজ্যের অন্য পুরসভার উপ নির্বাচনের সঙ্গে এই ওয়ার্ডেই ভোট হবে। আগামী ২২ নভেম্বর ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছে কমিশন। কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নান্টুবাবুকেই ফের প্রার্থী করেছে তৃণমূল। দলের ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক সৌরভবাবুকে প্রার্থী করে লড়াইয়ে নেমে কংগ্রেস। দলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুবীন ভৌমিক বলেন, “আমরা কমিশনকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছি। বিরোধীরা ওয়ার্ডে হেরে যাওয়ার ভয়ে এই ধরনের নোংরা রাজনীতি করছে।”
কংগ্রেসের তরফে কমিশনে জানানো অভিযোগে অবশ্য কোনও রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ না করে তাতে অভিযুক্ত হিসাবে ‘বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী’রা হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে দলের আরেক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস ঘোষ বলেন, “আমরা জানি তৃণমূল প্রার্থীর লোকজনই ওই কাজ করেছে। প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।”
তৃণমূলের তরফে অবশ্য অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং মনগড়া বলে দাবি করা হয়েছে। দলের ওই ওয়ার্ডের প্রার্থী নান্টুবাবু বলেন, “একেবারেই বাজে কথা। আমার দল বা আমি এই ধরনের রাজনীতি করিনা। ওঁরা নিজেরাই সম্ভবত ওসব ছিঁড়ে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। এলাকার মানুষ সব জানেন।” উল্লেখ্য, এই ওয়ার্ডের ভোট সংখ্যা ২৫৪৭ জন। গতবার ভোটে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে নান্টুবাবু সিপিএমের জয়ন্ত মৌলিককে প্রায় ১১০০ ভোটে হারিয়েছিলেন। এবার ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী হয়েছেন এলাকার এক সময়কার কাউন্সিলর উমা গোয়েল।
সিপিএমের তরফে অবশ্য বিষয়টি পুরানো ‘বন্ধু’দের গোলমাল বলে জানানো হয়েছে। দলের নেতাদের একাংশ বলেন, “ক’দিন আগেও ওরা জোটসঙ্গী, বন্ধু ছিল। এখন একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করতে নেমেছে। তাই কে কী করবেন, কী বলবেন তা ঠিক করতে পারছেন। একে অপরকে হারাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।” দলের দার্জিলিং জেলার নেতা তথা প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “এই ধরনের রাজনীতি সিপিএম কোনওদিন করেনি। তাই বিরোধীরা এই কাজ করেছে বলে কংগ্রেস যে অভিযোগ করেছে তা ঠিক নয়। কে ওই কাজ করেছে পুলিশ-প্রশাসন দেখুক।”
এই ওয়ার্ডের সঙ্গে উপ নির্বাচন হবে শহরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডেও। সেখানকার কাউন্সিলর চৈতালি সেন শর্মা ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করায় ফের হচ্ছে। গত সপ্তাহে এই ওয়ার্ডেও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবে’র বিরুদ্ধে নির্বাচন বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছিলেন মন্ত্রী গৌতমবাবু। |
|
|
|
|
|