শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’র (এসজেডিএ) প্রায় ৬০ কোটি টাকা দুর্নীতির মূল ‘কারিগর’ ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়রদের একাংশ বলেই মনে করছে শিলিগুড়ির গোয়েন্দা পুলিশ।
ওই দুর্নীতি মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই স্পষ্ট হচ্ছে এ ধারনা। পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়রদের একাংশ বিভিন্ন প্রকল্পের দরপত্র নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে দিনের পর দিন সরকারি টাকা আত্মসাত করে এসেছে। সম্প্রতি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর কাজে কারচুপির অভিযোগে ধৃত ঠিকাদার সংস্থার কর্তা সুব্রত দত্তকে এসজেডিএ অফিসে নিয়ে গিয়ে জেরার পরে এ ব্যাপারে একরকম নিশ্চিত হয়েছেন গোয়েন্দারা।
শনিবার ধৃত সুব্রতবাবুকে আদালতে তোলা হলে শিলিগুড়ির ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সন্তোষ পাঠক তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে তাঁকে চার দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কে. জয়রামন বলেন, “একাধিক ঠিকাদার মিলে কোনও চক্র গড়ে তুলেছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দফতরের বাস্তুকার, আধিকারিকদের একাংশের ভূমিকাও সে ক্ষেত্রে প্রশ্নের উর্ধ্বে নয়। সবাইকেই জেরা করা হচ্ছে।” |
বিষয়টি নিয়ে এসজেডিএ-র সুপারিনন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়র দীপেশ বণিককেও জেরা করেছে পুলিশ। নিকাশি প্রকল্প, েক্লাজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো-সহ যে সব প্রকল্পের নথিপত্রে বাস্তুকার, আধিকারিকদের সই রয়েছে, সে ব্যাপারে তাঁর কাছে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। সম্প্রতি শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসে দীপেশবাবুকে ডেকে পাঠিয়ে জেরা করা হয়।
এসজেডিএ সূত্রের খবর, রুদ্রবাবু চেয়ারম্যান থাকার সময়ই দীপেশবাবুর পদোন্নতি হয়। প্রকল্পের কাজ নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার
পরে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে রুদ্রবাবুকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। নতুন চেয়ারম্যান হন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব।
সম্প্রতি ডাবগ্রাম এলাকায় একটি বাড়ি থেকে নিম্নমানের কিছু ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা উদ্ধার করে পুলিশ। যেগুলি প্রথম পর্যায়ে শহরে লাগানো হয়েছিল। তদন্তও শুরু হতেই রাতারাতি সেগুলি বদলে ফেলারও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া মহানন্দা অ্যাকশন
প্ল্যান নিকাশি ব্যবস্থা এবং তিনটি শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানো নিয়ে ৬০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ জানানো হয়েছে। |