আগাম জামিন এখনও অনিশ্চিত। খুনের অভিযোগে গ্রেফতারের খাঁড়া মাথায় নিয়ে আপাতত অন্তর্বর্তী জামিনে রয়েছেন তিনি। এরই মাঝে, প্রায় দেড় মাস পরে নিজের খাসতালুক বহরমপুরে ফিরেই নির্বাচন বিধি ভঙ্গের দায়ে জড়িয়ে পড়েন কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। শাসকদলের অভিযোগ পেয়ে মন্ত্রীর মন্তব্য সংক্রান্ত সিডি তলব করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সিডি খতিয়ে দেখে বহরমপুর থানায় অধীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে মুর্শিদাবাদের জেলাশাসককে এ দিন নির্দেশ দিল কমিশন।
সোমবার, কমিশনের নির্দেশ পেয়েই থানায় অভিযোগ অভিযোগ দায়ের করেছে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক রত্নাকর রাও বলেন, “রাজ্য নির্বাচন কমিশন সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭১সি (২-এ) ধারায় অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে। সেই মতো বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।”
তবে, রেল প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে জেলা প্রশানের তৎপরতা দেখে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য এ দিন বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কিংবা লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম সরাসরি কংগ্রেস কর্মীদের নাম করে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন। কমিশন বার বার বলা সত্ত্বেও জেলা প্রশাসন বা পুলিশ অভিযোগ দায়ের করার সময়ই পায়নি। অথচ এ ক্ষেত্রে অধীর সরাসরি কাউকে আক্রমণ করেননি। কিন্তু কমিশনের নির্দেশ পেয়ে রাতারাতি অভিযোগ দায়ের করল প্রশাসন।” প্রদীপের দাবি, “এ রাজ্যে সরকার যে ভাবে চলছে তা স্বৈরচারেরই নামান্তর।” জেলা প্রশাসন সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, অধীরের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে
তাঁকে সামান্য তিরস্কার করেই ছেড়ে দিয়েছে প্রশাসন।
গত ২৭ অক্টোবর বহরমপুর অভিযানের ডাক দিয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস। সে দিন ওই সমাবেশে অধীরের মন্তব্য ছিল: শাসকদল পুলিশ নিয়ে স্থানীয় পুরসভা দখল করতে এলে তাদের মাথা গুঁড়িয়ে দিতে হবে। তত দিনে পুর-নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যাওয়ার নির্বাচন বিধি ভঙ্গের আওতায় পড়েন অধীর। শাসকদলের অভিযোগ পেয়ে সেই মন্তব্যের সিডি চেয়েছিল কমিশন। |