পুজো মণ্ডপে ঢুকে মহিলাদের উদ্দেশে অশ্লীল মন্তব্য করছিল জনা ছয়েক মদ্যপ যুবক। পুজো উদ্যোক্তারা তাদের বাধা দিলে ওই যুবকরা দলবল জুটিয়ে এনে উদ্যোক্তাদের মারধর করে বলে অভিযোগ। রবিবার রাতে মুর্শিদাবাদের কান্দির জীবধরপাড়ার ওই ঘটনায় পুজো কমিটির সাত জন জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তিন জন কান্দি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কান্দির আইসি কৌশিক ঘোষ বলেন, “পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নেতন ঘোষ নামে কান্দির এক যুবককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
জীবধরপাড়ায় প্রতি বছরই বেশ ধুমধাম করে কালীপুজো হয়। এবার গুহার আদলে তৈরি করা হয়েছিল মণ্ডপ। ফলে সন্ধ্যার পর থেকেই সেখানে ভিড় উপচে পড়ছিল দর্শনার্থীদের। ওই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতেই পুজো প্রাঙ্গণে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করেছিলেন উদ্যোক্তারা। এ দিন রাত দশটা নাগাদ তিনটে বাইকে ছ’জন যুবক পুজো প্রাঙ্গণে আসে। বাইক নিয়ে তাদের ঢুকতে নিষেধ করা হলেও ওই যুবকরা কারও কথা শোনেনি। কান্দি হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের অন্যতম নীলাদ্রি সিংহ বলেন, “মণ্ডপে তখন বেশ ভিড় ছিল। সকলের নিষেধ উপেক্ষা করে ওই যুবকরা বাইক নিয়েই ঢুকেছিল। পুজো মণ্ডপের ভিতরে ঢুকে মহিলাদের উদ্দেশ্য করে অশ্লীল কথা বলছিল। প্রথমে আমরা নিষেধ করে তাদের ওখান থেকে সরিয়ে দিই। পরে ওরা আরও বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে আমাদের উপর চড়াও হয়। আমাদের চিৎকার শুনে পাড়ার লোকজন বেড়িয়ে আসতেই ওরা চম্পট দেয়।” সোমবার দুপুরে জীবধরপাড়ার জনা পঞ্চাশেক বাসিন্দা কান্দি থানায় এসে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানান। |