কাঠমান্ডুতে সাফ কাপের পরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত করেই দেখালেন উইম কোভারম্যান্স। আই লিগে না খেলা চার ফুটবলার সুব্রত পাল, নির্মল ছেত্রী, রহিম নবি, গৌরমাঙ্গী সিংহকে জাতীয় দল থেকে বাদ দিয়ে দিলেন ডাচ কোচ। এঁরা সকলেই আইএমজিআরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ফুটবলার। নবি মহমেডানে সই করলেও এখনও মাঠে নামেননি।
সুব্রত এবং গৌরমাঙ্গী বিদেশে ট্রায়াল দিতে গিয়েছেন। জাতীয় দলে নিয়মিত খেলা নবি অবশ্য বাদ পড়ায় হতাশ নন। বরং তিনি কোচের সিদ্ধান্তের পক্ষেই। বলে দিলেন, “আমরা তো ম্যাচের মধ্যে নেই। কোচ তো ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। আমাকে স্যাভিও (কোচ স্যাভিও মেদেইরা) স্যার ফোন করেছিলেন। আমি বলেছি, পুরো ফিট নই। তা ছাড়া যারা এখন ভাল খেলছে তাদের তো সুযোগ দিতে হবে।”
শিলিগুড়িতে ১৫ এবং ১৯ নভেম্বর জাতীয় দল দু’টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে। ফিলিপিন্স এবং নেপালের বিরুদ্ধে। দুটি ম্যাচ খেলার জন্য ২১ জনের যে দল ঘোষণা করেছেন কোভারম্যান্স তাতে নবিরা ছাড়াও পারফরম্যান্স খারাপের জন্য বাদ পড়েছেন আরও ছয় ফুটবলার— সন্দীপ নন্দী, জেজে, জুয়েল রাজা, মোহনরাজ, অলউইন জর্জ এবং সন্দীপ জিংগান।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে আই লিগের ম্যাচ দেখছিলেন জাতীয় কোচ। ফলে নতুন কিছু নাম উঠেছে তালিকায়। ডাক পেয়েছেন শিল্টন পাল, নিকোলাও কোলাসো, আইবর, নারায়ণ দাসের মতো ফুটবলার। সুনীল ছেত্রী, মেহতাব হোসেন, ক্লিফোর্ড মিরান্ডা, লেনিদের অবশ্য টিমে রেখেছেন কোভারম্যান্স। কিন্তু কবে থেকে জাতীয় শিবিরে যোগ দেবেন ডাক পাওয়া ফুটবলাররা? আই লিগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ৬ নভেম্বর থেকে। কিন্তু কবে থেকে শিবির হবে এবং কোথায় হবে তা ঠিক হয়নি।
প্রথমে ঠিক ছিল চেন্নাই স্টেডিয়ামে ম্যাচ হবে। শিবিরও হবে সেখানেই। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সবরকম প্রস্তুতিও ছিল। দু’টো অনুশীলন ম্যাচের জন্য দু’টো অনুশীলনের মাঠও ঠিক হয়ে গিয়েছিল। মাঠ ঠিক করতে পনেরো লাখ টাকা খরচই নয়, দুটি হোটেলে অগ্রিম দিয়ে বুকিংও করেছিলেন। কিন্তু নতুনভাবে তৈরি স্টেডিয়াম উদ্বোধন করার ‘সময়’ পাননি মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ শিলিগুড়িতে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের দাবি, ম্যাচ করার সবুজ সঙ্কেত ফেডারেশন থেকে পেয়ে গিয়েছেন তারা।
এ দিকে, সোমবার ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটির সভায় আই লিগে আগামী বছর বিদেশি কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হল। চার থেকে তিন জন বিদেশি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তা পাঠিয়ে দেওয়া হল কার্যকর কমিটির কাছে। কারণ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ওই কমিটিই। তবে ওই তিন জনের ক্ষেত্রেও বিধি নিষেধ থাকছে। ভাইচুং ভুটিয়ার কমিটির সুপারিশ, তিন জনের মধ্যে অন্তত দু’জন এমন বিদেশি ক্লাবগুলি নিক যাঁরা সে দেশের জাতীয় দলে বা সে দেশের সর্বোচ্চ টুর্নামেন্টে খেলেছে। তা হলে খেলার মান বাড়বে। অর্থাৎ বিদেশিদের ক্ষেত্রে একটা নিয়ন্ত্রণ চাইছে টেকনিক্যাল কমিটি।
|