|
|
|
|
রাঁচিতে আবার তল্লাশি, মিলল বোমা-ডিটোনেটর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি ও পটনা |
পটনা বিস্ফোরণের জেরে আজ সন্ধ্যায় রাঁচির একটি লজে তল্লাশি চালিয়ে ন’টি তাজা বোমা, ১৯টি ডিটোনেটর, প্রচুর জিলেটিন স্টিক ও ১২টি টাইমার উদ্ধার করল এনআইএ ও রাজ্য পুলিশ। সেগুলি গাঁধী ময়দানেই ব্যবহারের ষড়যন্ত্র ছিল বলে দাবি তদন্তকারীদের। পুলিশ সূত্রের খবর, পটনার ঘটনার পর রাঁচি থেকে ধৃত হায়দর আলি নামে এক যুবককে জেরা করেই তদন্তকারীরা জানতে পারে, রাঁচির হিন্দপিরি এলাকায় একটি লজে তার নামে একটি ঘর ভাড়া করা আছে। তার ভিত্তিতেই আজ লজটিতে হানা দেয় তদন্তকারীরা। উদ্ধার করা হয় বিস্ফোরক। পরে বোমাগুলি রাঁচির মোরাবাদী ময়দানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই রাতে বম্ব ডিজপোজাল স্কোয়াড বোমাগুলি নিস্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
আজকের এই ঘটনার পর ইন্ডিনায় মুজাহিদিনের ‘রাঁচি মডিউল’ সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা হয়েছে তদন্তকারীদের। একটি সূত্র জানিয়েছে, এই হায়দর আলিই সংগঠনের অন্যতম মূল মাথা তথা পটনা বিস্ফোরণের সামগ্রিক পরিকল্পনার দায়িত্বে থাকা তেহসিন আখতারের সঙ্গে সমন্বয় করত। সেই রাঁচির স্লিপিং মডিউলটিকে চাঙ্গা করে পটনা বিস্ফোরণে কাজে লাগায়। হায়দরই ইমতিয়াজ আনসারি, এনুলদের হাতে বিস্ফোরক তুলে দেয়। তদন্তকারীদের সন্দেহ, রাঁচির হিন্দপিরির এই লজটি থেকেই হায়দার কাজ করত।
এদিকে, পটনায় বিস্ফোরণ-কাণ্ডে অভিযুক্ত এনুলের দেহ সামাজিক সংগঠনের হাতে তুলে দিল পুলিশ। আজ পটনা রেল পুলিশের সুপার উপেন্দ্রকুমার সিন্হা জানিয়েছেন, রাঁচিতে এনুলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, তাঁরা দেহ নিতে আসেনি। নির্ধারিত ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষার পরই শেষকৃত্যের জন্য এনুলের দেহ সামাজিক সংগঠনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
২৭ অক্টোবর ওই স্টেশনেই বোমা রাখতে গিয়ে বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয়েছিল ওই যুবক। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন ৩১ অক্টোবর মৃত্যু হয় তার। পুলিশের দাবি, এনুল ‘ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন’ জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। রাঁচির ধুরুয়া এলাকার সিঠিওএ বস্তির বাসিন্দা ছিল এনুল। তাঁর বাবা মহম্মদ আতাউল্লার বক্তব্য, পুলিশ তাঁদের জানিয়েছিল এনুল নামে কারও পটনায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু নিহত যুবক যে তাঁরই ছেলে তা তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না। আতাউল্লার কথায়, “দেহ শনাক্ত করতে বিহারে গেলে জঙ্গির বাবা সন্দেহে আমার উপরও তো হামলা হতে পারে।”
|
খুলল গাঁধী ময়দান |
পটনায় বিস্ফোরণ-কাণ্ডের এক সপ্তাহ পর ফের খুলল গাঁধী ময়দানের দরজা। পটনার জেলাশাসক এন শ্রাবণকুমার সোমবার এ কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, পুলিশ এবং সিআরপি-র ‘সবুজ সঙ্কেত’ পাওয়ার পরই ওই ময়দান সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ২৭ অক্টোবর নরেন্দ্র মোদীর ‘হুঙ্কার র্যালি’র আগে সেখানে পরপর পাঁচটি বিস্ফোরণ হয়। ওই দিনই গাঁধী ময়দান থেকে আরও চারটি বোমা উদ্ধার করে নিরাপত্তাবাহিনী। গত কয়েকদিনের তল্লাশিতে আরও পাঁচটি বোমার হদিশ মিলেছিল। গাঁধী ময়দানে নিয়মিত নজরদারি চলবে।
পুরনো খবর: মুজাহিদিনকে সন্দেহ, সময়ই প্রশ্ন নীতীশের |
|
|
|
|
|