|
|
|
|
দুই শহরে ধর্ষণ দুই কিশোরীকে |
সংবাদ সংস্থা • মুম্বই ও কোয়ম্বত্তূর |
বন্ধুরা তাকে ভরসা দিয়েছিল। রাত হয়ে গিয়েছে। তাই ওরাই বাড়ি পৌঁছে দেবে। ভরসা রাখেনি মুম্বইয়ের সেই কিশোরীর বন্ধুরা। আর কোয়ম্বত্তূরে এক কিশোরীর বাড়িতে জোর করে ঢুকলেন এক তথাকথিত ভদ্রলোক।
শুক্রবার রাতে মুম্বইয়ের গোরেগাঁওয়ের কাছে বছর ষোলোর একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায় ছ’জন। ওই অবস্থায় হেঁটে বাড়ি ফেরে মেয়েটি। ৬ অভিযুক্তই পলাতক। তাদের বয়স কুড়ির আশপাশে। তারা কিশোরীর ‘বন্ধু’।
পরের দিন অর্থাৎ শনিবার পর্যন্ত ভয়ে, লজ্জায় কাউকে কিছু বলতে পারেনি সে। রবিবার ঠাকুমাকে বলার পরে তিনিই মেয়েটিকে সঙ্গে করে নিয়ে যান দিনদোশি থানায়। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি। পরে অবশ্য এক সমাজকর্মীর হস্তক্ষেপে অভিযোগ দায়ের হয়।
মেয়েটি জানিয়েছে, সে ধর্ষণকারীদের প্রত্যেককেই চেনে। তাদের এক জনের ফ্ল্যাটেই পুজো উপলক্ষে শুক্রবার রাতে সে গোরেগাঁও গিয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষ হতে বেশ রাত হয়ে যায়। অত রাতে একা ফিরতে হবে ভেবে মেয়েটি একটু চিন্তিত হয়ে পড়ে। তখন এগিয়ে আসে তার বন্ধুরাই। বলে, দল বেঁধে সবাই বাড়ি পৌঁছে দেবে তাঁকে। মেয়েটির নিশ্চিন্তে বেরিয়ে পড়ে ওদের সঙ্গে।
কিন্তু মেয়েটির অভিযোগ, পথে অন্য মূর্তি ধারণ করে বন্ধুরা। কিছু দূর গিয়েই নির্জন একটা জায়গা বেছে নিয়ে তাকে জোর করে বিয়ার খাওয়ায়। তার পরে একটি সেতুর নীচে বড় নর্দমায় নিয়ে গিয়ে চার জন পর পর ধর্ষণ করে তাকে। সেই কাজে তাদের সাহায্য করে বাকি দু’জন। তার পর ওই ভাবেই মেয়েটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা।
কম মর্মান্তিক নয় কোয়ম্বত্তূরের কাছে তিরুপুরে ঘটা গতকালের ঘটনাও। বাড়িতে একা ছিল বছর সতেরোর এক কিশোরী। অভিযোগ, তখন জোর করে বাড়িতে ঢুকে পড়েন এক লগ্নি সংস্থার ম্যানেজার অরুণ কুমার। মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন তিনি। ওই কিশোরী চিৎকার করতে গেলে মুখে কাপড় গুঁজে দেন অরুণ। আর তাতেই তার শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। পালানোর সময়ে অরুণকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা।
|
|
|
|
|
|