পুলিশ অ্যাকাডেমিতে সেই শুনানি চলাকালীন ক্ষুব্ধ মুরসি এত বার বাধা দিয়েছেন যে বিচারক বাধ্য হয়ে মামলার শুনানি স্থগিত করে দেন। ফের শুনানি হবে ৮ জানুয়ারি। যদিও মুরসির আইনজীবী সালিম এল আওয়ার বক্তব্য, এই শুনানি পুরোপুরি অসাংবিধানিক। মুরসি সমর্থকরাও আদালত কক্ষে প্রবল চেঁচামেচি করেন। সেখানেই মুরসিকে ফাঁসি দেওয়ার দাবিতে সরব হন সেনা সমর্থিত সাংবাদিকরা। কোর্ট চত্বরের আশপাশেও সেনার সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায় মুরসি সমর্থকদের। সব মিলিয়ে তুমুল হইহট্টগোলে বন্ধ করে দিতে হয় শুনানি। এমনিতেই শুনানি শুরুও হয় প্রায় দু’ঘণ্টা দেরিতে। আদালত কক্ষের নিরাপত্তা অফিসাররা বলেছেন, মুরসি কিছুতেই অপরাধীদের পোশাক পরতে রাজি হচ্ছিলেন না। নীল স্যুটেই হাজির হতে চেয়েছিলেন আদালতে। কোর্টের বৈধতা তিনি স্বীকার করেন না বলেই কোর্টের নিয়ম মেনে ওই পোশাকও তিনি পরতে চাননি। মিশরের সেনা সমর্থিত সরকারের বিরোধীরাও বলছেন, “এই বিচার আসলে মুরসি আর মুসলিম ব্রাদারহুডকে শেষ করে দেওয়ার একটা কৌশল। পুলিশ-রাষ্ট্র তৈরি করতে চাইছে ওরা।”
সেনা মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরে কোথায় রেখেছিল, তা এত দিন গোপন থাকলেও আজ জানা যায়, মুরসিকে আলেকজান্দ্রিয়ার কারাগার থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছে কায়রোর পুলিশ অ্যাকাডেমিতে। কোর্টে ছিল আরও ১৪ অভিযুক্ত।
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকেরও পুলিশ অ্যাকাডেমিতেই শুনানি হয়েছে। এ দিনের শুনানি ঘিরে যে গোলমাল হতে পারে আগে থেকেই আঁচ করে সেনা সরকার।
তাই কড়া সতর্কতা জারি করা হয় কায়রোয়। |