শহরের যানজট এড়াতে গত কয়েকবছরে পুলিশ-প্রশাসনের উদ্যোগে অসংখ্য বার সর্বদল বৈঠক হয়েছে। সম্প্রতি পুজোর আগেও একইভাবে যানজট নিয়ে বৈঠক হয়। গাড়ি দাঁড়ানোর জায়গা-সহ প্রশাসনের নানা সিদ্ধান্তের কথা মাইকে প্রচারও করা হয়। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসনে ঢিলেঢালা নজরদারির সুযোগে যানজটে চাঁচলের বাসিন্দাদের জেরবার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাস, ম্যাক্সি, ট্রেকার, অটো, যন্ত্রচালিত ভ্যান রাস্তা দখল করে দাঁড়িয়ে থাকছে। যাত্রী ওঠা নামার কাজ চলছে রাস্তায়।
সমস্যার কথা অজানা নয় পুলিশ প্রশাসনের। চাঁচলের মহকুমাশাসক সঞ্জীব দে বলেন, “পুজোর আগে বৈঠক করে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তার পরেও নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে শুনেছি। কয়েকদিনের মধ্যেই অভিযান শুরু করা হবে।” একইভাবে চাঁচলের এসডিপিও পিনাকী রঞ্জন দাস বলেন, “অধিকাংশ যানবাহন নিয়ম না মানায় ফের যানজট শুরু হয়েছে। যানজট মুক্ত করতে দ্রুত অভিযান হবে।” প্রশাসন ও পুলিশ কর্তাদের আশ্বাসে অবশ্য খুব একটা আশ্বস্ত হতে পারছেন না মহকুমা সদরের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, একাধিকবার প্রশাসনের তরফে চাঁচলকে যানজট মুক্ত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন ঠিকঠাক চলার পর নজরদারির অভাবে তা মুখ থুবড়ে পড়ে। এ বারেও তাই হয়েছে। |
১৩ বছর আগে মহকুমা সদর হওয়ায় উত্তর মালদহের প্রাণকেন্দ্র চাঁচলে দৈনন্দিন কাজে কয়েক হাজার মানুষ প্রতি দিন যাতায়াত করেন। এ ছাড়া স্কুল কলেজের পড়ুয়ারা তো রয়েছেই। বাসিন্দারা জানান, যানবাহন অবৈধভাবে সড়ক দখল করে দাঁড়িয়ে থাকায় সকাল থেকেই তৈরি হয় তীব্র যানজট। শহরের নেতাজি মোড় অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। রাস্তা দখল করে থাকা অটো, যন্ত্রচালিত ভ্যান ও রিকশা চালকদের সঙ্গে প্রায়শই বাসিন্দাদের বচসা হচ্ছে। চাঁচল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রাণগোপাল পোদ্দার বলেন, “শুধু নিয়ম করলেই তো হবে না। তা ঠিকভাবে মানা হচ্ছে কী না তা পুলিশ-প্রশাসনকেই দেখতে হবে। তা হয় না বলেই চাঁচলের এই অবস্থা।” |