পঞ্চায়েতের উপ-সমিতি নির্বাচন কেন্দ্র করে তৃণমূলের এবং বাম সমর্থকদের মধ্যে সংঘষের্র্ ২৭ জন জখম হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে মেখলিগঞ্জের রানীরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতে ঘটনাটি ঘটেছে। এদিন দুপুরে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে লাঠি নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। দু’পক্ষই পরস্পরের দিকে পাথর ছুঁড়তে থাকে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিও চালায়।
বামেদের অভিযোগ, উপসমিতি গঠনের নির্বাচনে হার নিশ্চিত জেনেই তাদের সদস্যদের গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে বাধা দেয় তৃণমূল সমর্থকরা। বাম সদস্যদের দিকে লাঠি নিয়ে তেড়ে আসে তৃণমূলিরা পরে পাথর ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের তরফেও পাল্টা একই অভিযোগ করা হয় বামেদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পরে উপ-সমিতির নির্বাচন হয়। তৃণমূলের হামলার কারণে তাঁদের কোনও সদস্যই নির্বাচনে অংশ নিতে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে পারেননি বলে বামেদের অভিযোগ। তৃণমূলই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪টি উপ-সমিতি দখল করেছে। পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তল্লাশি শুরু হয়েছে।”
সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রানীরহাট পঞ্চায়েতের ১৩টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পায় ৭টি আসন। বাকি আসনে সিপিএম এবং ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থীরা জয়ী হন। এবারেই প্রথম ওই পঞ্চায়েত বামেদের হাতছাড়া হয়েছে। তৃণমূলই গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করে। এদিন গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ সমিতি নির্বাচনের সভা ছিল। নিয়ম অনুসারে, পঞ্চায়েতের ১৩ জন সদস্য ছাড়াও পঞ্চায়েত সমিতির এলাকার সদস্য উপ-সমিতি ভোটে অংশ নিতে পারেন। বামেদের অভিযোগ, ওই এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির ৩ সদস্যই বামেদের হওয়ায় উপ-সমিতিগুলি বামেদের হাতে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় তৃণমূল হামলা চালায়। মেখলিগঞ্জের বিধায়ক ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা পরেশ অধিকারীর অভিযোগ, “উপ-সমিতি হাতছাড়া হবে বুঝতে পেরে তৃণমূল গোলমাল পাকিয়েছে। প্রতিবাদে আজ, শনিবার চ্যাংরাবান্ধা চৌরঙ্গী মোড় অবরোধ করা হবে।” তৃণমূলের মেখলিগঞ্জ ব্লক সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত সরকারের পাল্টা অভিযোগ, “৭ সদস্যকে অফিসে ঢোকার সময়ে বাধা দেয় বামেরা। আমাদের ১২ জন জখম হন। ২ জনকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে।” |