ডুয়ার্সে আসা পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্য বক্সা পাহাড়। যদিও যোগাযোগের ক্ষেত্রে এখনও দুর্গম বক্সা। পনেরো বছর আগে দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তা তৈরি হয়েছিল। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেই রাস্তাও ভেঙে গিয়েছে বলে অভিযোগ। বাকি অংশে কোনও রাস্তাই নেই বলে অভিযোগ। বছর পাঁচেক আগে রাস্তা তৈরি নিয়ে সমীক্ষা হলে কাজ শুরু হয়নি। আলিপুরদুয়ারের সন্তালাবাড়ি থেকে বক্সা দুর্গের দূরত্ব ৫ কিলোমিটার। বাসিন্দাদের অভিযোগ পাহাড়ি চড়াই পথে এই দূরত্বে ৫০০ মিটার পর্যন্ত রাস্তার চলাচলের যোগ্য। |
যথাযথ যোগাযোগ পরিকাঠামোর অভাবে বক্সার ১৩টি গ্রামের উন্নয়নও থমকে রয়েছে বলে অভিযোগ। ঐতিহাসিক বক্সা বন্দি শিবিরেও পণ্য নিয়ে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে বলে অভিযোগ। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের এলাকায় বক্সা পাহাড় এবং ১৩টি গ্রাম। ২৮ মাইল বস্তি থেকে সন্তলা বাড়ি হয়ে চুনাভাটি মোড় পর্যন্ত রাস্তা খারাপ বেশ কয়েক জায়গায় ধসে ভেঙে গিয়েছে। মাস কয়েক আগে চুনাভাটি মোড় থেকে ভিউ পয়েন্ট পর্যন্ত বন দফতর কংক্রিটের রাস্তা তৈরি হলেও ভিউ পয়েন্ট থেকে সদর বাজার, বক্সা দুয়ার সহ অন্যান গ্রামগুলিতে দুর্গম পাহাড়ি পথে যাতায়াত করতে হয় বাসিন্দাদের। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা ভাস্কর জেভি বলেন, “সন্তলা বাড়ি থেকে চুনাভাটি মোড় পর্যন্ত বেহাল রাস্তা সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে ভিউ পয়েন্ট থেকে গাড়ি চলাচলে রাস্তা তৈরি করাটা কিছটা কঠিন কাজ।” পূর্ত দফতরের আলিপুরদুয়ারের নির্বাবী বাস্তুকার তাপস সাহা বলেন, “ওই এলাকায় রাস্তা তৈরির কাজের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সমীক্ষার কাজ করে ৫ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি হয়। তবে বর্তমানে সেই কাজ করতে গেলে খরচ কিছুটা বাড়বে।”
বক্সার সড়ক সহ এলাকার উন্নয়ন নিয়ে উদ্যোগী হয়েছে ডুয়ার্স টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান তথা কালচিনির বিধায়ক উইলসন চম্প্রামারি। তিনি বলেন, “এলাকার উন্নয়নের জন্য উত্তবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বক্সা পাহাড়ে যাবেন। বক্সাকে নিয়ে পৃথক পরিকল্পনা করে কাজ শুরু করা হবে।” ১৯৮১ সালে বক্সা বন্দি শিবিরকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়। বক্সা দুয়ারের বাসিন্দা নিমা ডুকপা, পিন্চো ডুকপারা অভিযোগ করে বলেন, “মূলত যোগাযোগ পরিকাঠামোর অভাবেই এলাকায় উন্নয়ন হচ্ছে না।” |