শেষ পর্যন্ত ইস্তফা দিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। কিন্তু তিনি পদত্যাগপত্রটি দিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব তথা শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। শিক্ষামন্ত্রী বা স্কুলশিক্ষা সচিবের বদলে তিনি কেন পার্থবাবুর হাতে পদত্যাগপত্র দিতে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জবাবে শুক্রবার সন্ধ্যায় চিত্তরঞ্জনবাবু বলেন, “দলীয় সূত্রে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।” চিত্তরঞ্জনবাবু নিজেও তৃণমূলের শিক্ষা সেলের অন্যতম নেতা। কিন্তু সরকারি পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে দলীয় নেতার কাছে এ ভাবে পদত্যাগপত্র দেওয়া কার্যত নজিরবিহীন। সরকারি সূত্রে খবর, চিত্তরঞ্জনবাবুর পদত্যাগপত্র পার্থবাবুই এ দিনই স্কুলশিক্ষা দফতরে পাঠিয়ে দেন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “শিল্পমন্ত্রী আমাকে জানিয়েছেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের ইস্তফা তাঁর হাতে এসেছিল এবং তিনি তা স্কুলশিক্ষা দফতরে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।” সরকারি সূত্রের খবর, কমিশনের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই শাসক দলের নেতাদের একাংশ চিত্তরঞ্জনবাবুর প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন। স্কুলের শিক্ষক বাছাই নিয়েও কিছু জটিলতা হয়। তার জেরে দলই চেয়েছিল, দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিন এসএসসি চেয়ারম্যান। গত সোমবার স্কুলশিক্ষা দফতরের তরফে চিত্তরঞ্জনবাবুকে ইস্তফা দিতে বলা হয়। কিন্তু তিনি তখনই ইস্তফা দিতে রাজি হননি। তাঁর বক্তব্য ছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিলে তবেই পদত্যাগ করবেন।
পুরনো খবর: পদত্যাগ বিতর্কে এসএসসি-কর্তা |
‘ন্যানো টেকনোলজি’-বিষয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হচ্ছে হলদিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির এস এন বসু অডিটোরিয়ামে। শুক্রবার ও শনিবার দু’দিনের এই সেমিনারে উপস্থিত থাকছেন দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক ও কর্মকর্তারা। পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের প্রায় আড়াইশো ছাত্রছাত্রী তাঁদের গবেষণাপত্র নিয়ে মত বিনিময় করেন সেমিনারে। সেমিনারে উপস্থিত থাকছেন আইওসিএলের এগ্জিকিউটিভ ডাইরেক্টর এ সি মিশ্র, দক্ষিণ কোরিয়ার পুসান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এম সেলপাফারাজ, সিঙ্গাপুরের আইএমপিই-র গৌতম কুমার দণ্ডপাট, খড়্গপুর আইআইটি-র জি বি নন্দা প্রমুখ। সেমিনারের আহ্বায়ক এইচআরটি-র কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক রবীন্দ্রনাথ জানা বলেন, “বিদেশে এই প্রযুক্তি নিয়ে অনেক গবেষণা হলেও আমাদের দেশ অনেক পিছিয়ে। অথচ স্বল্পমূল্যের এই প্রযুক্তির ব্যবহার দৈনন্দিন জীবনে নানা ক্ষেত্রে ও শিল্পক্ষেত্রে বাড়ানো প্রয়োজন। দেশের গবেষক ও ছাত্রদের এ বিষয়ে আগ্রহী করতেই এই সেমিনারের আয়োজন।”
|
সারদা কাণ্ডের জেরে এই নিয়ে তাঁকে মোট ৯ বার জেরা করলেন করলেন রাজ্য পুলিশের তদন্তকারীরা। বেরিয়ে এসে বিধাননগর কমিশনারেটের সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ কুণাল ঘোষ। দাবি করলেন, সারদা গোষ্ঠীর ব্যাপারে তাঁর চেয়েও যাঁরা বেশি জানেন, তাঁদের জেরা করা হচ্ছে না। অথচ বারবার তাঁকেই ডেকে জেরা করছে পুলিশ। এ দিন দুপুর ২টো থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে কুণালবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সারদা কাণ্ডের তদন্তকারীরা। পরে কুণালবাবু বলেন, “চলতি বছরের ৬ এপ্রিল সিবিআই-কে লেখা চিঠিতে সুদীপ্ত সেন সারদার ভরাডুবির জন্য একাধিক ব্যক্তির ঘাড়ে দায় চাপিয়েছিলেন। সাত দিন পরে তিনি সংস্থার অন্য কর্তাদের ই-মেলে ভরাডুবির অন্য কারণের কথা লিখেছিলেন।” কুণালবাবু জানান, সারদা কর্তার লেখা ওই দু’টি চিঠি তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ও বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটকে দিয়েছেন।
পুরনো খবর: অন্যদের জেরা নয় কেন, প্রশ্ন কুণালের |
রাজ্যে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চার জেলার চাষিদের কৃষিঋণের বোঝা হাল্কা করার জন্য কোনও সরকারি সুবিধা দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই বিভাগীয় মন্ত্রীরা এই নিয়ে একপ্রস্ত আলোচনা করেছেন। কৃষি দফতরের তরফে অর্থ দফতর এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথাবার্তা চালানো হচ্ছে। সাম্প্রতিক প্লাবনে দুই মেদিনীপুর ও হাওড়া-হুগলিতে চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই চার জেলায় ঘুরে এসে মন্ত্রীরা সরকারি স্তরে রিপোর্ট পেশ করেছেন। প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চার জেলায় ৪৭ লক্ষ ২ হাজার ১৩৩ জন চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। রাজ্যের ৪৪টি ব্লকে ৮০ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে চাষের ক্ষতি হয়েছে।
|
পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)-এর দায়িত্ব খর্ব করার প্রতিবাদে শুক্রবার পিএসসি-র দফতরে গণ অবস্থান করল পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন, আশা-সহ সরকারি কর্মীদের ১২টি সংগঠন। রাজ্য সরকারের গ্রুপ বি এবং গ্রুপ সি পদে নিয়োগের দায়িত্ব পিএসসি-র হাত থেকে নিয়ে স্টাফ সিলেকশন কমিশনকে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি উঠেছে ওই কর্মসূচি থেকে। |