বেআইনি পুলকারের বিরুদ্ধে সরকারি অভিযান শুরু না হলে ২৪ অক্টোবর থেকে লাগাতার স্কুলবাস ধর্মঘট থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল কনট্রাক্ট ক্যারেজ ওনার্স অ্যান্ড অপারেটরর্স অ্যাসোসিয়েশন’। সোমবার পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “বেআইনি পুলকার বন্ধের জন্য স্কুলবাস মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে বিষয়টি দেখতে বলেছি। কিন্তু লাগাতার স্কুলবাস ধর্মঘট করবে বলে আমাকে কিছু জানাননি। আমরা ধর্মঘট সমর্থন করি না।” সোমবার মহাকরণে মদনবাবুর সঙ্গে দেখা করেন স্কুলবাস সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রি গঙ্গোপাধ্যায়। হিমাদ্রিবাবু জানান, পরিবহণমন্ত্রী বারবার বলেছেন, বেআইনি পুলকার চলবে না। পারমিট নিয়ে ব্যবসা করতে হবে। সেই মতো পরিবহণ দফতর থেকে পারমিট নেওয়ার সময়সীমা বারবার বাড়ানো হয়। তবু পারমিট ছাড়াই বহু পুলকার চলছে। ফলে ক্ষতি হচ্ছে স্কুলবাসের ব্যবসায়। সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে। হিমাদ্রিবাবু বলেন, “প্রায় ২৫০০ স্কুলবাস আছে শহরে। প্রাইভেট গাড়িতে করে পুলকারের ব্যবসা চালানোয় ক্ষতি হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে স্কুলবাস ধর্মঘটের পথে যেতে হচ্ছে।”
পুরনো খবর: ধর্মঘটের হুমকি |
কুণাল ঘোষকে জেরা করে উঠে এল কলকাতা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তার নাম। সোমবার দিল্লিতে কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রকের অধীন আর্থিক প্রতারণা বিভাগের অফিসাররা তাঁকে জেরা করেন তৃণমূলের এই সাংসদকে। সারদা-কাণ্ড নিয়ে গত শনিবারের পর আজ প্রায় ৭ ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। কুণালবাবু জানিয়েছেন, জেরার সময় কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সারদা গোষ্ঠীর (এজেন্টদের নিয়ে) একটি অনুষ্ঠানের ভিডিও দেখিয়ে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি ওখানে ছিলেন কি না ও কোন কোন বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। কুণালবাবু বলেন, “ওই ভিডিও ফুটেজটিতে দেখা যাচ্ছে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে পাশে নিয়ে বক্তৃতা করছেন ওই পুলিশ কর্তা। সারদার ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি আশা প্রকাশ করেন, সংস্থাটি ভবিষ্যতে আরও অনেক বড় হবে।” সূত্রের খবর, জেরায় কুণালবাবু জানিয়েছেন, তাঁকে ডেকে বারবার জেরা করা হচ্ছে। অথচ ওই সংস্থার মিডিয়া সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের বাইরে তিনি অন্য কোনও সম্মেলনে কখনও যাননি। তাঁর দাবি ছিল, মিডিয়া ছাড়াও সারদা গোষ্ঠীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাঁরা গিয়েছেন, উৎসাহ দিয়েছেন, তাঁদেরও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। জেরায় কুণালবাবু মন্ত্রকের কর্তাদের জানিয়েছেন, এই তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করতে তিনি রাজি। আজকের জেরায় কুণালবাবু এ কথাও বলেছেন যে, সুদীপ্তবাবু যে ভাবে চিঠি দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন, তা ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
পুরনো খবর: নিজের টাকা দিয়েছি বহু কর্মীকে, দাবি কুণালের |
প্রথম দফার কাউন্সেলিংয়ে ২১,৯৪২টি পদের জন্য শিক্ষক বাছাই করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। আগামী সপ্তাহে দ্বিতীয় দফার কাউন্সেলিং শুরু হবে, জানান কমিশনের চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। ডাক পাবেন ৮,৪৩৬ জন। এই বিষয়ে সবিস্তার তথ্য বুধবার কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। ৩০,৩৭৮টি শিক্ষক পদের জন্য ৩৬,০০০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিল এসএসসি। প্রথম পর্যায়ের কাউন্সেলিংয়ে ডাক পান ২২,৬৪৯ জন। এঁদের মধ্যে অনুপস্থিত থেকেছেন বা পছন্দ না হওয়ায় স্কুল বাছেননি ৭০৭ জন। ওএমআর শিটে প্রার্থীরা যে উত্তর দিয়েছেন তার সঙ্গে যাতে তাঁরা সঠিক উত্তর মিলিয়ে দেখতে পারেন সে জন্য আগের পরীক্ষায় ওএমআর শিটের নকল নিজেদের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন প্রার্থীরা। পরের বার সেই পদ্ধতি বহাল রাখা হবে না জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, “নকলের ফটোকপি করিয়ে তাতে নিজেদের দেওয়া উত্তরের উপরে সাদা কালি বুলিয়ে সঠিক উত্তরে দাগ দিয়ে মামলা করেছেন ক’জন প্রার্থী। তাঁরা ধরাও পড়েছেন। জটিলতা এড়াতে নকল আর বাড়ি নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না।”
|
পদত্যাগের জন্য চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগ করলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) চেয়ারম্যান। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, সোমবার সল্টলেকের আচার্য ভবনে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন এসএসসি-র চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। সেই বৈঠকের মাঝে একটি ফোন পেয়ে বিকাশ ভবনে চলে যান তিনি। চিত্তবাবু জানান, বিকাশ ভবনে স্কুলশিক্ষা-সচিব অর্ণব রায় তাঁকে পদত্যাগ করতে বলেন। চিত্তবাবু বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী আমার পদত্যাগ চান বলে সচিব জানান।” তবে সচিবের কথা মেনে এ দিন পদত্যাগ করেননি এসএসসি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “আমি শিক্ষামন্ত্রীর ইচ্ছায় এই পদে বসিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ পেলে এক সেকেন্ডও পদে থাকব না।” চিত্তবাবুর অভিযোগ অবশ্য স্বীকার করতে চাননি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।” স্কুলশিক্ষা-সচিবকে এ ব্যাপারে ফোন করা হলে তিনি সাড়া দেননি। শিক্ষা দফতরের একটি সূত্রের খবর, স্কুলে নিয়োগ নিয়ে তৃণমূল শিক্ষা সেলের নেতা চিত্তবাবুর সঙ্গে শিক্ষা দফতরের শীর্ষ-কর্তাদের বিরোধ বেধেছিল। সেই সূত্রে এর আগেও তাঁকে পদত্যাগ করার কথা বলা হয়েছিল বলে ওই সূত্রের দাবি।
|
বিধানসভার ৭৫ বছর পূর্তির সমাপ্তি অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে রাজ্য সরকার। লোকসভার স্পিকার মীরা কুমারকেও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। বিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের উপস্থিতিতে সোমবার বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক হয়েছে, ৪-৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠান হবে। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এবং মীরাকে আনার চেষ্টা চলছে বলে স্পিকার জানান। |