শুধু গান নয়, টুপিটাও বেশি টেনেছিল বনগাঁর প্রবীণ শিক্ষক হরিনারায়ণ সরকারকে। মান্না দে-র মৃত্যুর পরে সেই ২৫ বছর আগের কথা মনে পড়ে গেল তাঁর। ছোট থেকেই তো শুনে আসছেন মান্না দে-র গলার সেই গান। তখন থেকেই সেটা জড়িয়েছিল জীবনে। কিন্তু ২৫ বছর বয়সে প্রথম দেখার সুযোগ হয়েছিল শিল্পীকে। বসিরহাট হাইস্কুলের মাঠে সে বার গান গাইতে এসেছিলেন শিল্পী। গান তো মুগ্ধ করলই। আরও যেটা টানল, তা হল শিল্পীর টুপিখানি। কিন্তু কথা না হওয়ায় আর জানতে চাওয়া হয়নি, কোথায় মিলবে ঠিক অমন টুপি?
অবশেষে মিলল সেই সুযোগ। আকাশবাণীর অনুরোধের আসরে প্রিয় শিল্পীকে উদ্দেশ করে চিঠি লিখলেন বছর পঁচিশের শিক্ষক—কোথায় পাই বলুন তো আপনার মতো টুপি? সঙ্গে অবশ্য এক খান গানের অনুরোধও ছিল। |
মান্না দে’র মৃত্যুর পর বনগাঁর আমলাপাড়ার বাড়িতে বসে বছর বাহান্নর শিক্ষকের স্মৃতিচারণ, “অনুষ্ঠান সঞ্চালক চিঠি পেয়েছিলেন। মান্নাবাবু বলেছিলেন, আমার গানের ভক্ত আছে, শুনেছি। তবে টুপিরও যে ভক্ত থাকতে পারে, জানতাম না।” পরে টুপির হদিসও দেন তিনি। হরিনারায়ণবাবুকে বলেছিলেন, কলকাতায় মিলতে পারে। না পেলে, সিমলায় পাওয়া যাবে টুপি। সিমলায় পেয়েছিলেনও তিনি। শিক্ষক বলেন, “ওখানে টুপিগুলো হাজারিকা বা মান্না টুপি বলে বিক্রি হয়।” সেই টুপি আজও যত্ন করে রেখেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার যখন এক ছাত্র খবর দিল মান্না দে আর নেই, সারা দিন শুধু তাঁরই গান শুনেছেন তিনি। আর সারাদিন পরেছিলেন টুপিটা। আর ছাত্রদের বলেছেন, তাঁর টুপির গল্প। |