স্থায়ী সমিতি গঠন হল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদে। নতুন কর্মাধ্যক্ষও মনোনীত হয়েছেন বিভিন্ন স্থায়ী সমিতিতে।
স্থায়ী সমিতির কাজকর্ম নিয়ে বিস্তর জলঘোলার পরে বাম পরিচালিত উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের ক্ষমতা সভাধিপতির হাত থেকে দেওয়া হয় প্রশাসনের হাতে। জটিলতার মূল কারণ ছিল, স্থায়ী সমিতিতে সাংসদ-বিধায়কদের সংখ্যা ধরে বামেদের সংখ্যালঘু হয়ে পড়া। জেলা পরিষদে ক্ষমতাসীন না হলেও সে সময়ে স্থায়ী সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয় তৃণমূল। এই জটিলতায় উন্নয়নের কাজকর্ম স্তব্ধ হয়ে পড়ে। রাজনৈতিক বাধায় কর্মাধ্যক্ষদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলে তৎকালীন জেলা পরিষদে ক্ষমতাসীন বামেরা।
শুক্রবার স্থায়ী সমিতি গঠন প্রসঙ্গে জেলা সভাধিপতি রহিমা বিবি বলেন, “স্থায়ী সমিতি নিয়ে জটিলতায় আগের বোর্ডে কাজ করা যায়নি। এ বার খুব সুন্দর ভাবে কর্মাধ্যক্ষ ও স্থায়ী সমিতি তৈরি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে নতুন বোর্ডের প্রতিটি সদস্য উন্নয়নের কাজ করবে।” জেলা সহ সভাধিপতি কৃষ্ণগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “আগের জেলা পরিষদে কাজকর্ম থমকে গিয়েছিল। বহু দিন নানা বাধা-বিপত্তিতে স্থায়ী সমিতি কাজকর্ম করতে পারেনি। অনেক টাকা ফেরত যায়। অনেক প্রকল্প বন্ধ হয়ে পড়ে থাকে। পরে প্রশাসক বসানোয় অবশ্য কিছুটা কাজ হয়। আমাদের লক্ষ্য হল এই জেলার উন্নয়ন। সেই লক্ষ্যেই স্থায়ী সমিতি ও কর্মাধ্যক্ষদের দলীয় সিদ্ধান্তে নিয়োগ করা হয়েছে।”
এ বার ৫৭টি আসনের মধ্যে ৩৭টি আসন পেয়ে জেলা পরিষদ দখল নিয়েছে তৃণমূল। শুক্রবার ছিল স্থায়ী সমিতি গঠন এবং কর্মাধ্যক্ষ মনোনয়নের কাজ। ৫ জন করে সদস্যকে নিয়ে মোট ৯টি স্থায়ী সমিতি গঠন করা হয়েছে এ দিন। ৯ জন কর্মাধক্ষ্যকে আগেই মনোনয়ন দিয়েছিল দল। নিয়ম মাফিক অর্থ দফতর রাখা হয়েছে সভাধিপতির হাতে। জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, নভেম্বর মাসের গোড়ায় স্থায়ী সমিতির সভা ডাকা হবে। তারপরেই প্রতিটি দফতর নতুন উদ্যমে কাজে নামবে।
|
কমার্ধ্যক্ষদের তালিকা |
• পূর্ত ও পরিবহণ: নারায়ণ গোস্বামী
• জনস্বাস্থ্য: জ্যোতি চক্রবর্তী
• কৃষি, সেচ ও সমবায়: সিরজুল ইসলাম
• শিক্ষা, সংস্কৃতি, তথ্য ও ক্রীড়া: রণজিৎ দাস।
• খাদ্য ও সরবরাহ: গৌরাঙ্গ দাস
• বিদ্যুৎ ও অচিরাচরিত শক্তি: প্রবীর ঘোষ
• শিশু, নারীকল্যাণ ও ত্রাণ: সুষমা সরকার
• বন ও ভূমি: আরসাদুজ্জামান
• মৎস্য,প্রাণিসম্পদ: পার্থসারথি পাত্র |
|