প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে জলবন্দি মহেশতলা সংলগ্ন নিউপার্ক এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, বিভিন্ন মহলে এই সমস্যার সমাধানের জন্য আবেদন জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। বাসিন্দাদের ক্ষোভ, অন্য বছরে জল জমলেও তা নেমে যেত, কিন্তু এ বার জল নামছেই না।
স্থানীয় বাসিন্দা লিলি দত্ত বললেন, “দুর্গন্ধে ঘরের দরজা-জানলা খোলা যায় না।” এলাকাবাসী জানান, বর্ষার শুরু থেকেই রাস্তাগুলি জলের তলায়। খানাখন্দগুলি কার্যত মরণফাঁদ। জমা জল কালো হয়ে গিয়েছে। নর্দমা আর রাস্তার ফারাক বোঝা যাচ্ছে না। অভিযোগ, কয়েক মাস ধরে দূষিত জল মাড়িয়ে যাতায়াতের জন্য এলাকার অনেকের চর্মরোগ হচ্ছে।
বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, ঘরে ঘরে জলবাহিত রোগ এবং জ্বর লেগেই রয়েছে। মশা, মাছি পোকামাকড়ের উপদ্রব কীটনাশক ছড়িয়েও আটকানো যাচ্ছে না। কার্যত ঘরবন্দি হয়ে গত সাড়ে চার মাস ধরে দিন গুজরান চলছে। |
এ ভাবেই যাতায়াত। ছবি: অরুণ লোধ। |
কিন্তু কেন এই হাল?
এলাকার তৃণমূল বিধায়ক দিলীপ মণ্ডল জানান, এই এলাকার উপর দিয়ে কলকাতা পুরসভার একটি নিকাশি নর্দমা গিয়েছে। এই নর্দমার এখনও কোনও আউটলেট তৈরি হয়নি। পাশাপাশি এ বার বেশি বৃষ্টি হওয়ায় ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের কষ্ট বেশি হচ্ছে। দিলীপবাবু আরও বলেন, “ওই এলাকার মতো আরও বহু এলাকা রয়েছে যেখানে জল যাওয়ার কোনও জায়গা নেই। আমরা ওই নর্দমাটি ঠিক করার জন্য কলকাতা পুরসভার কাছে আবেদন জানিয়েছি। আশ্বাসও পেয়েছি। কাজ শুরু হতে সময় লাগবে।”
তবে এ সব আশ্বাসবাণী শুনতে নারাজ এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা জানান, এই জল মাড়িয়ে স্কুলে, কোচিংয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে এলাকার শিশুরা পর্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়ছে। প্রশাসনের প্রায় সব স্তরে আবেদন জানানো হয়েছে। প্রতিশ্রুতিই সার, কাজ হয়নি কিছুই।
কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |