|
|
|
|
পুলিশি নিস্ক্রিয়, জাতীয় সড়ক অবরোধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
কাজ চাইতে গিয়ে সিপিএমের হাতে প্রহৃত হয়েছেন দলীয় কর্মীরা, আর নিষ্ক্রিয় থেকেছে পুলিশ। এই অভিযোগে শুক্রবার ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ তৃণমূল নেতা কর্মীদের নেতৃত্বে প্রায় দু’ঘণ্টা কাষ্ঠখালি ছোট পুল বাসস্ট্যান্ডে ওই অবরোধ চলে। শিল্পশহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এতক্ষণ ধরে অবরুদ্ধ থাকায় যানজট তৈরি হয়। নাকাল হন নিত্যযাত্রী থেকে কারখানার শ্রমিকরা। শেষ পর্যন্ত মহিষাদলের সিআই শুভঙ্কর দে ও ভবানীপুর থানার ওসি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়া ব্লকের বাড়সুন্দরায় জাতীয় সড়ক লাগোয়া একটি জায়গায় নির্মীয়মান একটি ওয়ার্কশপে আগে থেকেই কাজ করছিলেন সিপিএমের সমর্থক শ্রমিকেরা। ২৩ অক্টোবর সকালে ওই ওয়ার্কশপে কাজের দাবি নিয়ে যান বাড়সুন্দরা ও কাষ্ঠখালির বাসিন্দা জনা পঞ্চাশেক বেকার যুবক। তাঁদের মধ্যে কাষ্ঠখালি দক্ষিণপল্লির বাসিন্দা শেখ আকরা, শেখ রাজুদের অভিযোগ, তাঁরা ওই ওয়ার্কশপে যাওয়ার পরই সিপিএম ঘনিষ্ঠ শেখ মাজেদের নেতৃত্বে স্থানীয় ও বহিরাগত কয়েক জন মিলে তাঁদের উপর হামলা করে। হামলায় বারো জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার দিন বুধবারই উভয়পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা চন্দন সামন্ত বলেন, “পুলিশ মূল অভিযুক্তদের ধরনি। তা ছাড়া ঘটনাটিকে লঘু করে দেখানোয় ধৃত কয়েক জন আদালত থেকেই জামিন পান। দুষ্কৃতীরা এলাকায় ঘুরলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি।”
অবরোধে নেতৃত্ব দিয়ে তৃণমূল যুব নেতা বুদ্ধদেব মণ্ডল বলেন, “দলীয় সমর্থক বেকার যুবকরা কাজ চাইতে গিয়ে বিনা দোষে সিপিএমের হাতে মার খেয়েছে। পুলিশও যথাযথ ভূমিকা নেয়নি। তাই অবরোধ করেছি।”
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার ও শুক্রবার মিলিয়ে মোট ন’জন অভিযুক্তকে ধরা হয়েছে। শেখ মাজেদ পক্ষের দায়ের করা অভিযোগ মিথ্যে। মূল অভিযোগ খতিয়ে তদন্ত করা হবে। সিপিএম ঘনিষ্ঠ ঠিকাদার শেখ মাজেদ বলেন, “আমার রাজনৈতিক অবস্থান ভিন্ন বলেই চক্রান্ত করে আমাকে ওই কোম্পানির কাজ থেকে সরাতে চাইছে তৃণমূল নেতারা। কয়েকবার তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজও বন্ধ করে দেয়।
বুধবার ওদের দুই গোষ্ঠীর মারামারি হলেও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রশাসনের সাহায্যও পাচ্ছি না।” |
|
|
|
|
|