|
|
|
|
মিউটেশনের ফাইল শেষ করতে ছুটির দিনেও কাজ করার নির্দেশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জমি কিনেছেন। কিন্তু কিছুতেই তা নিজের নামে হচ্ছে না (মিউটেশন)। জমির চরিত্র পরিবর্তনের (কনভার্সন) ক্ষেত্রেও একই।
এ বার এই কাজে গতি আনতে তৎপর হল জেলা প্রশাসন। কাজ শেষ করতে শনিবার ও রবিবারেও অফিস করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকদের। তারই সঙ্গে প্রতিটি আধিকারিককে মাসে কত পরিমাণ মিউটেশনের কাজ করতে হবে তারও লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারি, জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অরিন্দম দত্ত জেলার সমস্ত ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক, মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকদের নিয়ে কালেক্টরেটের সভাকক্ষে একটি বৈঠক করেন। বৈঠকে জেলাশাসক সাফ জানিয়ে দেন, “কাজ করতে হবে। কাজে ঢিলেমি চলবে না। গাফিলতি দেখলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকও জানিয়ে দেন, “প্রত্যেককে যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে নিয়মিত তা করে দেখাতে হবে।”
জেলায় এখন পর্যন্ত কত মিউটেশনের আবেদন পড়ে রয়েছে?
ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ লক্ষ ২১ হাজার ৫৭৯টি আবেদন পড়ে রয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের পরিসংখ্যান বলছে, মাত্র ১০৬২৫টি মিউটেশনের কাজ হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে লক্ষাধিক শেষ করতে তো বছর গড়িয়ে যাবেই। তার উপর প্রতিদিনই নতুন করেও আবেদন জমা পড়ছে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যে সমস্ত ব্লকে ৫ হাজার বা তার বেশি আবেদন পত্র জমা পড়ে রয়েছে, সেখানে কর্মীদের সোমবার থেকে শুক্রবারের পাশাপাশি মাসে আরও ২টি শনিবার অফিস করতে হবে এই কাজ করার জন্য। যে সব ব্লকে ১০ হাজারের বেশি আবেদনপত্র পড়ে রয়েছে, সেখানে প্রতি শনিবার তো বটেই, মাসে ২টি রবিবারও অফিস করতে হবে। প্রত্যেক রেভিনিউ অফিসারকে মাসে ৩০০টি ও বিএলআরও-কে দেড়শোটি মিউটেশনের কাজ অবশ্যই
করতে হবে।
আবেদন পড়ে থাকায় সবার আগে রয়েছে চন্দ্রকোনা-১ ব্লক। যেখানে ১৪১৮১টি আবেদনপত্র পড়ে রয়েছে। তারপরই রয়েছে ডেবরা। ১৩৮৭৭টি আবেদনপত্র পড়ে রয়েছে। সবংয়ে পড়ে রয়েছে ১২৬৪৩টি, গড়বেতা-১ ব্লকে পড়ে রয়েছে ১০৯৪৪টি, দাসপুর-২ ব্লকে পড়ে রয়েছে ১০৫৯৪টি। আবার এমনও ব্লক রয়েছে যেখানে একটিও আবেদনপত্র পড়ে নেই। তেমন ব্লক হল মোহনপুর। বিনপুর-২ ব্লকে মাত্র ১৬টি ও জামবনি ব্লকে ৯২টি আবেদন পড়ে রয়েছে। কেন এমন হচ্ছে? দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সব অফিস নিয়ম মতো সময়ে কাজ করেছে সেখানে আবেদনপত্র পড়ে থাকছে না। যেখানে কাজের থেকে উদাসীনতা বেশি সেখানেই আবেদনপত্র পড়ে-পড়ে পাহাড় হচ্ছে।
রাজস্ব আদায়েও চলতি বছরে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৬০ কোটি টাকা। সেখানে এখন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে মাত্র ১৪ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা। রাজস্ব আদায়ের উপরেও জোর দিতে বলা হয়েছে বৈঠকে। |
|
|
|
|
|