মাস্টার ব্লাস্টার-এর সঙ্গে ক্রিকেটজীবনের একটা বড় সময় ড্রেসিংরুমে কাটানোর অমূল্য অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁদের দু’জনের ঝুলিতেই। দু’বছর আগে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয়ের পর দু’জনকেই দেখা গিয়েছিল সচিন তেন্ডুলকরকে কাঁধে নিয়ে ওয়াংখেড়ে প্রদক্ষিণ করতে। সেই দুই সদ্য প্রাক্তন সচিন-সতীর্থ গৌতম গম্ভীর এবং ইউসুফ পাঠান মনে করছেন, “ভারতীয় দলে সদ্য ঢোকা ক্রিকেটার কিংবা আগামী দিনে যাঁরা দলে আসবেন তাঁরা ড্রেসিংরুমে সচিনের মূল্যবান উপদেশ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন। সচিনের অবসরের পর বিদেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নিউজিল্যান্ড সফর ডানকান ফ্লেচারের দলের তরুণ ক্রিকেটারদের কাছে তাই আরও বড় চ্যালেঞ্জ।”
মাঝখানে আর বারো দিন। তার পরেই ইডেনে জীবনের দ্বিতীয় শেষ টেস্ট (১৯৯তম) খেলতে নামবেন সচিন। তার আগে এই মুহূর্তে জাতীয় দলছুট দুই সচিন-অনুরাগী গম্ভীর এবং ইউসুফ দু’জনেই শুক্রবার হাজির শহরে। একটি ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থার হয়ে প্রচারকার্য সারলেন দিল্লিওয়ালা গম্ভীর। আর বাংলার বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলতে এসেছেন বরোদার ইউসুফ। |
শহরে এক অনুষ্ঠানে গম্ভীর। ছবি: উৎপল সরকার। |
সচিনের সঙ্গে সেরা মুহূর্ত বাছতে বললে দু’জনেরই গলায় এক সুর, “ড্রেসিংরুমে সচিন পাজির সঙ্গে সেরা মুহূর্ত কাটানো কিংবা সদুপদেশ পাওয়ার অন্ত নেই। সে ভাবে তাই বেছে বলা কঠিন।” গম্ভীর এর সঙ্গে সংযোজন করলেন, “সচিনের থেকে শেখার সবচেয়ে বড় ব্যাপারটা হল, হার না মানা মনোভাব। সব পরিস্থিতিতেই জেতার জন্য আগ্রাসী মনোভাবের এক ইতিবাচক ব্যক্তিত্ব।
সকালে দক্ষিণ কলকাতার ঝাঁ চকচকে শপিং মলে গম্ভীর যখন এ কথা বলছেন, তখন বিমানবন্দর থেকে সবে মধ্য কলকাতার হোটেলে পা দিয়েছেন ইউসুফ পাঠান। বিকেলে ইডেনে এসেছিলেন অনুশীলন করতে। কিন্তু বৃষ্টির জন্য গা ঘামালেন সিএবি-র ইন্ডোরেই। পরে হোটেলে ফেরার আগে বলে গেলেন, “সচিনের থেকে এই মুহূর্তে শিক্ষণীয় এটাই যে, একশো আটানব্বইটা টেস্ট খেলার পরও লোকটা জীবনের শেষ দুই টেস্ট খেলার জন্য ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
এ দিকে, সচিনের বিদায়ী টেস্টে তাঁর নামাঙ্কিত স্ট্যান্ডে টিকিটের মূল্য এ দিনই চূড়ান্ত করল মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ)। দেড় হাজার দর্শকাসন বিশিষ্ট ওই স্ট্যান্ডের প্রতিটি টিকিটের মূল্য দশ হাজার টাকা। ১৪-১৮ নভেম্বর ওই টেস্ট উপলক্ষে প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছে এমসিএ। |