|
|
|
|
ক্ষোভ আইআইটি-র ঠিকাদারের |
রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে কাজে বাধা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
মজুরি বৃদ্ধির দাবি, কখনও মর্জিমতো কর্মী নিয়োগ রাজনৈতিক দলগুলির এমনই নানা ‘আবদারে’ বাধা পাচ্ছে সৌন্দর্যায়নের কাজ। এমনটাই দাবি খড়্গপুর আইআইটি-র সৌন্দর্যায়নের কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থার। প্রকল্পের সহযোগী ঠিকাদার হরিপদ সাঁতরার কথায়, “কর্মীদের আমরা নিয়ম মেনেই মজুরি দিচ্ছি। এমনকী সিপিএম-সিপিআই-তৃণমূল-সহ সব রাজনৈতিক দলের মন মতো কর্মী নিয়োগ করেছি। তারপরও কখনও বেতন বৃদ্ধি, আবার কখনও আরও কর্মী নিয়োগ করার দাবি জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিদিন দরবার করছে। হুমকি দিচ্ছে। ঠিক করেছি, আর নয় এ বার মার খেতে হলেও নিজেদের শ্রমিক দিয়েই কাজ শেষ করব। অযথা দেরি হচ্ছে কাজে।”
খড়্গপুর আইআইটি সূত্রে খবর, ক্যাম্পাসে সারা বছরই নানা সংস্কারমূলক, কখনও সৌন্দর্যায়নের কাজ চলেই। সেই সব কাজে নিয়ম মতো টেন্ডার ডেকে ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়। এক্ষেত্রে চত্বরের গ্যাস গুদাম সংলগ্ন এক পুকুর বাঁধানো ও তার চারপাশে পার্ক গড়ার জন্য প্রায় ১ কোটি ২৮ লক্ষ টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়। বরাত পায় হুগলির এক ঠিকাদার সংস্থা। সহযোগী হয় স্থানীয় এক ঠিকাদার সংস্থা। ঠিক হয় চলতি বছরের অগস্টে কাজ শুরু হয়ে পরের বছরের জানুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ হবে। ঠিকাদার সংস্থার দাবি, কাজ শুরুর পর থেকেই শুরু হয় রাজনৈতিক ‘দাদাগিরি’। সিপিএম, সিপিআই, কংগ্রেস-সহ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী নিজ নিজ সংগঠনের কর্মীদের কাজ দেওয়ায় দাবি জানায়। পুজোর আগে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় ঠিক হয় প্রতিটি সংগঠন থেকে দু’জন করে কর্মী নিয়োগ করা হবে। ঠিকাদার সংস্থা সেই দাবি মানা হলে শুরু হয় কাজ। কিন্তু, পুজোর পর শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে নতুন গণ্ডগোল শুরু হয়। ঠিকাদার সংস্থার অভিযোগ, সিপিএমের শ্যামল ঘোষ শ্রমিকদের মজুরি ২৩১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৯৪ টাকা করার দাবিতে প্রকল্প এলাকায় এসে হুমকি দিচ্ছেন। তাতে সুর মেলাচ্ছেন তৃণমূল কাউন্সিলর অপূর্ব ঘোষের গোষ্ঠী। এর জেরে থমকে যাচ্ছে কাজ।
যদিও ঘটনার কথা মানতে নারাজ রাজনৈতিক দলগুলি। তৃণমূলের অপূর্ব ঘোষের দাবি, “আমরা কাজ বন্ধ করার পক্ষে নই। কিন্তু শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ২৯৪ টাকা না দিয়ে ২৩১ টাকা দেওয়া হচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ করে প্রকৃত মজুরির দাবি জানাচ্ছি।” সিপিএম নেতা শ্যামল ঘোষ বলেন, “আমি কোনও দিন ওখানে যাইনি। বাধা দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যে।”
ঠিকাদার সংস্থার প্রজেক্ট ম্যানেজার অয়ন মুন্সি বলেন, “বিষয়টি আমরা খড়্গপুর টাউন থানা ও আইআইটিকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছি।” এমনটা চলতে থাকলে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব নয় বলে জানান অয়নবাবু। সময়সীমা বাড়ানোর কথা বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন আইআইটি কর্তৃপক্ষ। |
|
|
|
|
|