দাঁতালের হামলায় জখম হল এক স্কুল ছাত্র। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাঘমুণ্ডি থানার পিটিদিরি গ্রামের কাছে ওই হামলার ঘটনাটি ঘটে। আহত কিশোরের নাম পশুপতি সিং মুড়া। বাঘমুণ্ডি থানার পিটিদিরি গ্রামেই তার বাড়ি। অযোধ্যা পাহাড় আশ্রমধর্মী উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে সে পড়ে।
গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে পুরুলিয়া থেকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পশুপতির দাদা জগন্নাথ সিং মুড়া এ দিন বলেন, “ভাইয়ের বুকে ব্যথা হচ্ছে। পুরুলিয়ায় চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওর বুকে রক্ত জমাট হয়ে গিয়েছে। তাই বাঁকুড়া মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”
এ দিন সকালে পুরুলিয়া হাসপাতালের বিছানায় পশুপতির বলে, “মাঠ থেকে গরু নিয়ে আমি বাড়ি ফিরছিলাম। একটি গরু জামবেড়িয়ার জঙ্গলে ঢোকার চেষ্টা করছিল। হঠাৎ দেখি সামনে এসে দাঁড়িয়েছে একটি হাতি। কী করব বুঝে ওঠার আগেই দাঁতালটি আমাকে পা দিয়ে সজোরে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। আমি ছিটকে গিয়ে পড়ি রাস্তার পাশে একটি খালে। দাঁতালটি চলে যাওয়ায় এ যাত্রায় বেঁচে গেলাম।” পশুপতির সঙ্গে থাকা অন্য ছেলেরা লোকজনকে খবর দেয়। তাঁরা উদ্ধার করে পশুপতিকে হাসপাতালে নিয়ে যান। বন দফতর সূত্রের খবর, লক্ষ্মীপুজোর রাতে সুবর্ণরেখা নদী পার হয়ে ঝাড়খণ্ড থেকে ২২টি হাতির দল ঝালদা বনাঞ্চলে ঢোকে। পরে তারা অযোধ্যাপাহাড়ের পশ্চিম দিকে খামার বিটের জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। সম্প্রতি পুস্তি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কয়েকটি গ্রামে হানা দেওয়ার পরে দলটি বাঘমুণ্ডি লাগোয়া এঁদেলডি পাহাড়ে আশ্রয় নেয়। হুলাপার্টির কর্মীরা হাতির দলটিকে তাড়া করায় বর্তমানে জামপানি থেকে দলটি দু’ভাগে ভাগ হয়ে যায়। ঝালদার রেঞ্জ অফিসার সমীর বসু বলেন, “আটটি হাতি রয়েছে মুরগুমার কাছে, বাকি ১৪টি হাতি চলে গিয়েছে বাঘমুণ্ডির দিকে। অযোধ্যার রেঞ্জ অফিসার শম্ভুনাথ মাইতি বলেন, “ওই ১৪টি হাতির মধ্যে একটি হাতির সামনে ওই ছেলেটি পড়ে যায়।” |