অবশেষে আনন্দপুর পাম্পিং স্টেশন সংলগ্ন ডিডি ওয়ান খালটির সংস্কার করতে চলেছে রাজ্যের সেচ দফতর।
পলি জমে মজে গিয়েছিল ডিডি ওয়ান খাল। ফলে নিকাশির জল বেরতে পারছিল না। তাই মাঝেমধ্যে খাল উপচে যাচ্ছিল। সমস্যা হচ্ছিল আনন্দপুর, রাসবিহারী কানেক্টর-সহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের। সমস্যার সমাধান করতে কেএমডিএ রাজ্য সেচ দফতরের হস্তক্ষেপ চায়। সেচ দফতর সূত্রে খবর, দ্রুত এই খাল সংস্কারের কাজ শুরু হবে।
রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আনন্দপুর পাম্পিং স্টেশন সংলগ্ন ডিডি ওয়ান খালটির অবস্থা খুব খারাপ। খাল দিয়ে জল বেরতে সমস্যা হচ্ছে। কেএমডিএ এই খাল সংস্কারের জন্য আমাদের অনুরোধ করেছিল। কিছু দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।”
আনন্দপুর পাম্পিং স্টেশনটি বেশ পুরনো। কেএমডিএ এই স্টেশনের রক্ষণাবেক্ষণ করে। কেএমডিএ সূত্রের খবর, পাম্পগুলি পুরনো হওয়ায় মাঝেমধ্যেই সমস্যা হত। এ ছাড়া, পাম্পিং স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত পাইপলাইনগুলিরও অবস্থা খারাপ। সম্প্রতি, পাম্প এবং কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পাইপলাইনের সংস্কার হয়েছে। তাতে সমস্যার পুরোপুরি সমাধান হয়নি। |
এমনই অবস্থা ডিডি ওয়ান খালের। ছবি: অমরেশ চক্রবর্তী। |
কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, এই পাম্পিং স্টেশনটি মূলত এলাকার নিকাশির জল বার করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। নিকাশির জল এই পাম্পিং স্টেশন সংলগ্ন খালের মাধ্যমে পূর্ব কলকাতার মাছের ভেড়িতে পড়ে। অন্য দিকে, বৃষ্টির জল সরাসরি খালের মাধ্যমে চৌবাগা খালে গিয়ে পড়ে। বর্ষার সময়ে খাল এমনিতেই ভরে থাকে। ফলে নিকাশির জল বেরতে পারে না। পলি ছাড়াও বর্জ্য জমে খালের নাব্যতা কমে গিয়েছে।
কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানান, খালের নাব্যতা বাড়াতে পলি তোলার দরকার। কিন্তু এ কাজের জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো কেএমডিএ-র নেই। জরুরি ভিত্তিতে খালটির সামান্য অংশ পরিষ্কার করা হয়েছিল। খালটির পূর্ণ সংস্কার দরকার বলে কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান।
এলাকার বাসিন্দা বিমল দাস বলেন, “মাঝেমধ্যেই নিকাশির জল উপচে রাস্তায় চলে আসে। বর্ষায় খুব খারাপ অবস্থা হয়েছিল। কেএমডিএ ছাড়াও কলকাতা পুরসভাকে এই ব্যাপারে অনেক বারই জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।” কেএমডিএ-র মুখ্য বাস্তুকার প্রিয়তোষ ভট্টাচার্য বলেন, “খাল মজে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। খালটি সেচ দফতরের। তারা যত দিন না এই খাল সংস্কার করছে তত দিন সমস্যা থাকবেই। আমরা সেচ দফতরকে বিষয়টি জানিয়েছি। কেএমডিএ এবং রাজ্য সেচ দফতরের প্রতিনিধিরা এই খালটির সমীক্ষাও করেছেন।”
অন্য দিকে, আনন্দপুর পাম্পিং স্টেশন পুরসভাকে হস্তান্তর করার পরিকল্পনা ছিল কেএমডিএ-র। কিন্তু এই পরিকল্পনা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। পুরকর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বিষয়টি কেএমডিএ এবং রাজ্য সেচ দফতরের আওতায় পড়ে। এ নিয়ে তাঁদের কিছু করার নেই। |