বিস্কুট প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছ থেকে দু’কোটি টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। টাকা না পেয়ে বুধবার ডানকুনিতে সংস্থার একটি নির্মীয়মাণ কারখানায় তারা বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। সংস্থার পদস্থ কর্তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাও ছোড়া হয়।
মাস পাঁচেক আগে ওই বিস্কুট প্রস্তুতকারী সংস্থাটি ডানকুনিতে ১৮ বিঘে জমির উপরে ৫০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজে হাত দিয়েছে। শিল্পসংস্থাটির মালিক গণেশপ্রসাদ অগ্রবালের অভিযোগ, শুরু থেকেই সেখানে দুষ্কৃতীদের উৎপাত চলছে। নানা সময়ে টাকা চাওয়া হচ্ছে। বোমাবাজিও হয়েছে। সংস্থার কর্তাদের ফোনে ক্রমাগত টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দাবি অনুযায়ী টাকা না পেয়ে ডানকুনিতেই ওই শিল্প সংস্থার অন্য একটি ইউনিটে এর আগে হামলা করেছে দুষ্কৃতীরা। ডানকুনি এবং শ্রীরামপুর থানায় ইতিপূর্বে অভিযোগ জানানো হলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি বলেও সংস্থার আধিকারিকদের ক্ষোভ। এই পরিস্থিতিতে কারখানা তৈরির কাজ বন্ধের মুখে বলেও জানিয়েছেন গণেশবাবু।
হুগলির পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। যে ফোন থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ, তা নিয়ে খোঁজখবর চলছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই সব বলা যাচ্ছে না।” পুলিশ সূত্রের খবর, ওই শিল্পপতিকে অজানা নম্বর থেকে ফোন করা হচ্ছে। হুমকি দেওয়ার পরে সেই মোবাইল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। জেলা পুলিশের পাশাপাশি রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশের শিল্পের অপরাধদমন শাখাও ওই ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
গণেশবাবুর অভিযোগ, “কারখানা চালু হলে ছ’শো ছেলে কাজ পাবে। কিন্তু দু’কোটি টাকা তোলা চাওয়া হচ্ছে। পুলিশ-পিকেট রয়েছে। অথচ দুষ্কৃতীরা হামলা চালাচ্ছে। তা হলে লাভ কী হল? তবে আমি দুষ্কৃতীদের টাকা দেব না।” শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে সময় চেয়েছেন তিনি। শিল্পমন্ত্রী অবশ্য বলেন, “আমি হুগলির পুলিশ সুপারকে বিষয়টি বলেছি। কোন নম্বর থেকে কত বার ফোন এসেছে, কত দিন আগে ফোন এসেছে, সব দেখে ব্যবস্থা নিতে।” |