ভাঙাচোরা রাস্তা মেরামতির দাবি না মেটায় শুক্রবার আরামবাগের ২৪ নম্বর রুটের (আরামবাগ-খানাকুল বন্দর) সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রাখলেন কর্মীরা। ফলে, সমস্যায় পড়েন বহু যাত্রী। অনেকে গন্তব্যে পৌঁছতেই পারেননি। অনেকে আবার ট্রেকারে বেশি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করেছেন। এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় যাত্রীদের মধ্যে। তাঁদের অভিযোগ, কাউকে কিছু না জানিয়ে একতরফা ভাবে বাস বন্ধ করা হয়েছে।
মহকুমাশাসক অরিন্দম রায় বলেন, “বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি। খোঁজ নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।” মহকুমা পূর্ত দফতরের (সড়ক) সহকারী বাস্তুকার সৌম্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাস সংগঠনগুলি অক্টোবর মাসের গোড়ায় রাস্তা মেরামতির দাবি জানায়। তখনই জানানো হয়েছিল বৃষ্টি বন্ধ হলে কাজ শুরু হবে। বৃষ্টি এখনও বন্ধ হয়নি। তবু এর মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে বেশ কিছু জায়গায় মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু জল জমে গিয়ে তা ফের ভেঙে যাচ্ছে। বাস চলাচলে সমস্যা হচ্ছে জানি। কিন্তু এ ভাবে বাস চালানো বন্ধ করা না হলেই ভাল হত।”
আরামবাগ ও খানাকুল বন্দর এই রুটের মোট দূরত্ব ২২ কিলোমিটার। তার আশপাশের রাস্তাগুলিকেও ২৪ নম্বর রুটের আওতাতেই ধরা হয়। ওই সব রাস্তায় সাধারণ বাস, দূরপাল্লার বাস, মিনিবাস মিলিয়ে মোট ৪৭টি বাস চলে। এ দিন অন্যান্য বাস পুরোপুরি বন্ধ থাকলেও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে বিকেলের দিকে কিছু মিনিবাস চলে।
তৃণমূল প্রভাবিত বাসকর্মী সংগঠনের সম্পাদক আশিস চক্রবর্তীর অভিযোগ, “রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় এমনই গর্ত হয়েছে যে গাড়ি চালানো ঝুঁকি হয়ে যাচ্ছে। গাড়ির যন্ত্রাংশ ভাঙছে, দুর্ঘটনাও ঘটছে। তাই বাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিই। বাস-মালিকেরা সিদ্ধান্ত সমর্থন করেন।” বাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক অনন্ত ভট্টাচার্য সমস্যার কথা মেনে নিলেও বাস বন্ধের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাননি। তাঁর দাবি, “আমাদের না জানিয়েই কর্মীরা বাস বন্ধ রেখেছেন। শনিবার থেকে বাস চলবে।” ব্লক তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন সভাপতি রামপ্রসাদ রানা বলেন, “আমাদের অন্ধকারে রেখে বাস বন্ধ করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |