লিফটের সমস্যা এখনও মেটেনি, ঝড়ের দাপটে কাচ ভেঙেছে, ছাদ চুঁইয়ে বৃষ্টির জল গড়িয়েছে। রয়েছে প্রথম দিন থেকে পানীয় জলের অভাবও। নবান্নে এ বার আগুন লাগল খোদ পুলিশ কমিশনারের ঘরে। কিন্তু ‘স্মোক অ্যালার্ম’ বাজলই না।
মাস গড়ানোর আগেই রাজ্য প্রশাসনের সদর কার্যালয়ের পরিকাঠামো নিয়ে এমন বহুমুখী সমস্যা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে কর্তাদের। শুক্রবার বিকেল সওয়া চারটে নাগাদ হঠাৎই প্রথম তলায় পোড়া গন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজ করে দেখা যায়, গন্ধ আসছে কলকাতার পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ কর পুরকায়স্থর ঘর থেকে (নবান্নের নিরাপত্তার দায়িত্বে যেহেতু কলকাতা পুলিশ, তাই সেখানে সুরজিৎবাবুর একটি ঘর রয়েছে)। ঘটনার সময়ে পুলিশ কমিশনার অবশ্য ঘরে ছিলেন না। অন্য পুলিশকর্মীরা তড়িঘড়ি ঘরটি খুলে দেখেন, চারদিক ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই দমকল ও পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের খবর দেওয়া হয়। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
নবান্নের একটি সূত্র জানিয়েছে, পুলিশ কমিশনারের ঘরের ‘স্মোক অ্যালার্ম’ থাকলেও তা কাজ করেনি বলে আগুন লাগার ঘটনা প্রথমে টেরই পাওয়া যায়নি। দমকল সূত্রের বক্তব্য, ছাদে লাগানো এসি থেকে কিংবা অন্য কোনও ভাবে শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন লেগেছিল সিপি-র ঘরে। খোলনলচে পাল্টে প্রায় নতুন তৈরি ঘরে কী ভাবে আগুন লাগল, কেনই বা ‘স্মোক অ্যালার্ম’ বাজল না, তার কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি পূর্ত দফতরের কর্তারা। তাঁদের দাবি, “ওই ঘরে ইলেকট্রিকের যাবতীয় কাজ করিয়েছে পুলিশ বিভাগই। তাই আমাদের পক্ষে এখনই বলা সম্ভব নয়, কোথায় ত্রুটি ছিল।” পুলিশ কিছু বলতে চায়নি। |