|
|
|
|
মিলল দুই যুবতীর দেহ, সন্দেহ ধর্ষণ
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
গুয়াহাটি বিমানবন্দরের কাছে, যোগীপাড়া এলাকা থেকে দুই যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার হল। অভিযোগ, তাদের ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। যুবতীদের পরিচয় জানা যায়নি। অভিযুক্তদের হাতে পেতে আজারা থানায় বিক্ষোভ চালায় জনতা। কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও একটি গাড়ি তারা পুড়িয়েও দেয়।
কামরূপ মহানগরের এসএসপি আনন্দ প্রকাশ তিওয়ারি জানান, ২৩ অক্টোবর রাতে বরঝারের কাছে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। তার তদন্তে নেমেই পুলিশ গাড়িটির চালক কিশোর দাসকে থানায় ডেকে পাঠায়। গাড়িটিও আনা হয়। দেখা যায় গাড়ির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত। ভিতরে রক্তের দাগ। কিশোর বিমানবন্দর ট্যাক্সি চালক সংস্থার নথিভুক্ত চালক। জেরায় কিশোর জানায়, ঘটনার দিন সে ও তার বন্ধু নৃপেন দাস পূর্ব পরিচিত দুই যুবতীকে ভিআইপি রোড থেকে গাড়িতে তোলে। তারা বরঝারের কাছে, বাংরা গ্রামে গোপাল বর্মনের বাড়িতে আসে। চলে পানভোজন।
কিশোরের বয়ান অনুযায়ী, রাত দেড়টা নাগাদ মেয়ে দু’টিকে নিয়ে তারা বেরিয়েছিল। হঠাৎ তাদের গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে। ঘটনাস্থলেই একটি মেয়ে মারা যায়। অন্য জন গুরুতর জখম হয়েছিল। কিশোর ও নৃপেনকে সাহায্য করতে গাড়ির মালিক অপূর্ব বড়ো অস্বীকার করেন। ইতিমধ্যে দ্বিতীয় মেয়েটিরও মৃত্যু হয়। কিশোর, নৃপেন দুই যুবতীর দেহ যোগীপাড়া রেললাইনের পাশে, ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়। তাদের মোবাইলও জলে ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশ কিশোর, নৃপেন, গোপাল ও গাড়ি মালিককে গ্রেফতার করেছে। কিশোরকে জেরা করে দু’টি দেহই উদ্ধার হয়। দেহ দু’টি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে কি না, দেখা হচ্ছে।
ধৃতদের প্রকাশ্যে শাস্তির দাবিতে আজারা থানায় চড়াও হয় স্থানীয় জনতা। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ আধা-সেনার সাহায্য নেয়। ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়িটিতে জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়। বেশ কিছুক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরোধও করা হয়। |
|
|
|
|
|