শিলিগুড়ির বাজার সব্জির দাম নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হল পুলিশ-প্রশাসন। শুক্রবার শহরের দুটি বাজারে শাক সব্জির দাম নিয়ন্ত্রণ করতে তৈরি হওয়া টাস্ক ফোর্স সদস্যরা অভিযান চালান। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, তাঁরা পাইকারি বাজার থেকে খুচরো বাজারে সব্জির দামের পার্থক্য খতিয়ে দেখেন। দলটিতে পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার তরফে ছিলেন সমীর পাল ও মহকুমা শাসকরে দফতর থেকে ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুমন বাগদাস। এদিন তাঁরা শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজার থেকে শাক-সব্জির দামের তালিকা সংগ্রহ করেন। তাঁরা চম্পাসারি এবং সুভাষপল্লি বাজারে যান।
অভিযোগ, চম্পাসারি বাজারে বেশ কিছু শাক-সব্জির দাম নিয়ন্ত্রিত বাজারের থেকে প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি আদার দাম। এদিন পাইকারি বাজারে আদা বিক্রি হয় ৩৫-৪৫ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে চম্পাসারি বাজারে তা ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, শহরের প্রতিটি বাজারে এদিন শাক-সব্জির দাম আকাশছোঁয়া। পেঁয়াজের দাম ৭০ টাকা ছাড়িয়েছে। বিভিন্ন ধরণের আলুর দামও ১৮-৩২ টাকা কেজি। আদার পাশাপাশি ফুলকপি, পেঁয়াজের দামও চড়া।
চম্পাসারি বাজারের পাশাপাশি এদিন বিকালে সুভাষপল্লি বাজারেও যান টাক্স ফোর্সের সদস্যরা। গত তাঁরা বৃহস্পতিবার বিধান মার্কেট ঘুরে দেখেন। লাগাতার এই অভিযান চলবে বলে জানান দুর্নীতি দমন শাখার অফিসার সমীর পাল। তিনি বলেন, “বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে আগামী দিনেও অভিযান চালাব।” মহকুমা শাসক দীপাপ প্রিয়া বলেন, “আমরা দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছি। তাঁরা বিভিন্ন বাজারগুলিতে অভিযান চালাবেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আগামী সোমবার বিভিন্ন বাজারের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিধান মার্কেটে অভিযান চালানো হলেও দামের ফারাক তেমন কিছু হয়নি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। তাঁরা জানান, এ দিনও বাজারে পেঁয়াজ ছিল ৭০ টাকা, নতুন আলু ২৮-৩০ টাকা কেজি, পালং শাক ৬০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৫০ টাকা কেজি। এদিন, চম্পাসারি বাজারে অভিযান চালাতে গিয়ে চারটি ওজন যন্ত্র সঠিক না থাকায় তা বাজেয়াপ্ত করে টাক্স ফোর্সের সদস্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তারা। তাঁদের অভিযোগ, “ওজনের কাঁটা ঠিক না থাকা, প্লেট খোলা রাখার জন্য মেশিন বাজেয়াপ্ত হয়।” |