|
|
|
|
রাজা হওয়ার তাড়া নেই চার্লসের, দাবি |
শ্রাবণী বসু • লন্ডন |
বয়স পেরিয়ে গিয়েছে ষাটের কোঠা। ছেলেরা তো ছিলই, এখন সিংহাসনের তৃতীয় প্রজন্মের দাবিদারও লাইনে হাজির। তবু এখনও সিংহাসনে বসার সুযোগই মিলল না চালর্সের। জনমানসে ব্রিটেনের যুবরাজের এই ছবিটা আসল সত্যির থেকে বহু যোজন দূরে, এমনটাই দাবি করলেন এক সাংবাদিক। এক মার্কিন পত্রিকায় চালর্সকে নিয়ে প্রবন্ধ লিখেছেন ক্যাথরিন মেয়ার। নাম দিয়েছেন ‘দ্য ফরগটন প্রিন্স।’ মেয়ারের কথায়, চার্লসকে যে রকম সিংহাসন লোভী ভাবা হয় আদতে ঠিক তার উল্টো তিনি। রাজ-দায়িত্ব কাঁধে পড়লে বন্দি হয়ে পড়বেন, আশঙ্কা যুবরাজ চার্লসের।
প্রবন্ধটি লেখার আগে যুবরাজের ৫০ জন বন্ধু ও সহযোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন মেয়ার। আর স্বয়ং চার্লস তো ছিলেনই। ব্রিটেন জুড়ে নানা সমাজসেবা মূলক কাজের সঙ্গে জড়িত তিনি। দিনের বেশির ভাগটাই কাটে এই কাজে। শখও আছে একটা। বাগানে গাছ-গাছালির পরিচর্যা করা। মেয়ার লিখেছেন, সকলের কথা শুনে তাঁর মনে হয়েছে সিংহাসনে বাঁধা পড়ার আগে এই সমস্ত কাজই যতটা পারেন সারতে চান যুবরাজ।
কিছু দিন ধরেই গুরু দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে চালর্সকে। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বয়স প্রায় নব্বই ছুঁইছুঁই। তাই মায়ের অনেক কাজেই হাত লাগাতে হয় যুবরাজকে। মেয়ারের দাবি, যা বলা হয় তার সবটাই করেন চালর্স। কিন্তু এই কাজে কোনও আনন্দই পান না তিনি। সিংহাসনে বসা নিয়ে মাতামাতিও একেবারেই না পসন্দ। শাসন-ভার পাওয়া মানে তো মা’কে হারানো। সে আর কোন সন্তানই বা চান! আর উপরি পাওনা বলতে আছে কাজের ভার। সিংহাসনে না বসেই যা রীতিমতো টের পাচ্ছেন তিনি। আগামী মাসেই কমনওয়েলথ দেশগুলির বৈঠক হবে শ্রীলঙ্কায়। রানির হয়ে সেখানে প্রতিনিধিত্ব করবেন চার্লস। কলম্বো রওনা হওয়ার আগে ছ’দিন ভারতেও কাটাবেন সস্ত্রীক যুবরাজ।
মেয়ারের এই প্রবন্ধ প্রকাশের পর অবশ্য দানা বেঁধেছে বিতর্ক। রাজকাজে চালর্স আনন্দ পান না, যুবরাজকে চেনেন যাঁরা তাঁদের অনেকেই এ কথা মানতে নারাজ। বরং রাজ দায়িত্ব আর সমাজসেবা পাশাপাশি চার্লসকে চালাতে দেখেছেন তাঁরা। খোদ ক্যাথরিন মেয়ারের আবার দাবি, লেখায় ‘বন্দি’ শব্দটা তিনি ব্যবহার করেননি। পরে অন্য সংবাদ মাধ্যম এটাকে এ ভাবে তুলে ধরায় কিছু ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। |
|
|
|
|
|