নিজস্ব সংবাদদাতা • শালবনি |
আশাকর্মীদের মোবাইলের সিম কার্ড বিলির কাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হল পশ্চিম মেদিনীপুরে।
পশ্চিম মেদিনীপুরে এখন প্রায় ৩ হাজার ৭০০ জন আশা কর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে শালবনিতে ১২৬ জন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার এঁদের ‘সিম’ দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই পরিষেবার উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। স্থানীয় কমিউনিটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা, দুই বিধায়ক মৃগেন মাইতি এবং শ্রীকান্ত মাহাতো প্রমুখ। বিশ্বরঞ্জনবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় একের পর এক কাজ হচ্ছে। ভিশন ২০১৫-কে সামনে রেখে সমগ্র স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজা হচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের সমীক্ষাই বলছে, সারা দেশের মধ্যে আউটডোর পরিষেবায় আমাদের রাজ্য প্রথম। জন্ম নিয়ন্ত্রণে দ্বিতীয়। আগামী বার আমরা প্রথম স্থান দখল করার চেষ্টা করব।” স্বাস্থ্য অধিকর্তার কথায়, “ভাল কাজ হচ্ছে বলেই মানুষের কাছ থেকে আমরা স্বীকৃতি পেয়েছি। যেটা আগে মিলত না। শিশু মৃত্যু কমানোর যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেওয়া হয়েছে। তার সুফল আগামী দিনে মিলবে। যে ভাবে কাজ করছেন, তাকে আরও একটু গতি দিতে হবে।” |
শালবনিতে সিম কার্ড তুলে দিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। |
শালবনিতে আশা কর্মীদের নিয়ে
গানের সিডির উদ্বোধনে মন্ত্রী। |
|
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “জঙ্গলমহলকে উন্নত করতে কোনও খামতি রাখবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সিম কার্ড দেওয়ার পরিষেবা ভারতবর্ষে প্রথম। আসলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা স্বপ্ন আছে। উনি সেই স্বপ্নই বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করেন। উনি ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখেন না।” তাঁর কথায়, “এমন পরিষেবার মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামেও সংযোগ স্থাপন করা যাবে।” রাজ্যে ৪১ হাজার আশা কর্মী রয়েছেন। এঁদের সকলের হাতে ‘সিম’ কার্ড পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৫ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা খরচ হবে জানিয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আপনারা (আশা কর্মীরা) অনেক কাজ করেন। মহিলাদের কাজ নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠলে আমিও দুঃখ পাই। কাজের ক্ষেত্রে গাফিলতি করবেন না।” অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ তমালকান্তি ঘোষ। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী দাবি করেন, “আগের থেকে গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এখন অনেক উন্নত হয়েছে।” মেদিনীপুরের বিধায়ক বলেন, “এই পরিকল্পনা সত্যিই অভিনব।”
|