প্রত্যন্ত গ্রামেও স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নের লক্ষ্যে আশা কর্মীদের মোবাইল সংযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এ ক্ষেত্রে আশা কর্মীদের দেওয়া হবে ‘সিম’ কার্ড। প্রথম দফায় রাজ্যের ৬টি জেলায় এই পরিষেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাও রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষেত্রে শুরুতে শালবনি ব্লকের আশা কর্মীদের হাতে ‘সিম’ তুলে দেওয়া হবে। এই উপলক্ষ্যে আজ, বৃহস্পতিবার শালবনি কমিউনিটি হলে এক অনুষ্ঠান হবে। এই অনুষ্ঠানেই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। উপস্থিত থাকার কথা স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী, জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারি প্রমুখের। সাধারণত, প্রতি হাজার মানুষ পিছু একজন করে আশা কর্মী থাকার কথা। যদিও পশ্চিম মেদিনীপুরে এখন প্রায় ৩ হাজার ৭০০ জন আশা কর্মী রয়েছেন। প্রায় ৭০০টি পদ শূন্য রয়েছে। আশা কর্মীদের কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামের গর্ভবতী মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে শিশুদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবর রাখা, গ্রামে জ্বর-ডেঙ্গি ম্যালেরিয়া-আন্ত্রিক-সহ অন্য রোগ ছড়াচ্ছে কি না, তা দেখার কথা। কোথাও কোনও সমস্যা নজরে আসলেই দ্রুত তা ব্লক মেডিক্যাল অফিসারের কাছে খবর পৌঁছনোর কথা। তবে, এখন খবর পৌঁছতে কিছুটা দেরি হয়। কারণ, অনেক কর্মীর হাতে মোবাইল থাকলেও তাঁরা তা সরকারি কাজে ব্যবহার করতে রাজি হন না। পরিস্থিতি দেখেই ‘সিম’ দেওয়ার ভাবনা। এই নম্বরটি সরকারি নম্বর হিসেবে কর্মীরা ব্যবহার করবেন। এ ক্ষেত্রে আশা কর্মীরা নিজেদের মধ্যে কথা বললে খরচও লাগবে না। শালবনিতে ১২৬ জন আশা কর্মী রয়েছেন। বৃহস্পতিবার এঁদেরই ‘সিম’ দেওয়া হবে। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার দাঁতন গ্রামীণ হাসপাতালের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। এখানে ৩০টি শয্যা রয়েছে। |