চিকিৎসার গাফিলতিতে এক মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিল শিলচর গ্রাহক আদালত। বিচারক জানিয়েছেন, চিকিৎসক আগে সতর্ক হলে মহিলা বেঁচেও যেতে পারতেন।
লক্ষ্মীপুর থানার দুর্গানগর গ্রামের কৃষক আফতাবউদ্দিন লস্কর আদালতে নালিশ জানিয়েছিলেন, ২০১১ সালের ৮ এপ্রিল তাঁর স্ত্রী বিলকিস বেগমের প্রসব-যন্ত্রণা শুরু হয়। সকাল ১০টায় তাঁকে হরিনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার আয়ুর্বেদ চিকিৎসক দীপককুমার দাস প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। অভিযোগ, প্রসূতিকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার জন্য বারবার চিকিৎসককে অনুরোধ করা হলেও তিনি তা শুনতে চাননি। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ জোর করে প্রসব করানো (ফোর্সিবল ম্যানুয়াল প্রসেস) হয়। শিশুটিকে মাতৃজঠর থেকে বের করার পরই মহিলার রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরিস্থিতি জটিল হওয়ার দীপকবাবু তাঁকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। অ্যাম্বুল্যান্সে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার সময়ই মহিলা জ্ঞান হারান। হাসপাতালে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, প্রসবের সময় অতিরিক্ত ‘বলপ্রয়োগে’ই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকের অনভিজ্ঞতা তার কারণ।
অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি বিষয়টি আদালতের বিচার্য কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিযুক্ত দীপকবাবু। শিলচর গ্রাহক আদালতের সভাপতি এম এল চট্টোপাধ্যায় এবং সদস্য এম এ লস্কর, আফতাবউদ্দিনকে গ্রাহক এবং ওই চিকিৎসককে ‘সার্ভিস প্রভাইডার’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। বিচারকরা রায় দেন, চিকিৎসক দীপকবাবুর গাফিলতি ও ভুল সিদ্ধান্তেই মহিলার মৃত্যু ঘটেছে। |