ডায়েরিয়ার প্রকোপ অব্যাহত বালুরঘাটের গোপালবাটি এলাকায়। বুধবার দুপুরে ওই এলাকা থেকে আরও ৭ জন আক্রান্তকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ৫০ জন ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরমধ্যে গোপালবাটি গ্রামের আদিবাসীপাড়ার ১০ মহিলা-সহ ২৬ জন আছেন। এ দিন এলাকায় মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। গোপালবাটি গ্রামের দুটি হস্তচালিত নলকূপকে স্বাস্থ্য দফতর চিহ্নিত করে সেগুলির জল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কাজল মন্ডল বলেন, “এলাকায় পিএইচই নলবাহিত জল সরবরাহের ব্যবস্থা থাকলেও বাসিন্দারা সেই জল পানীয় হিসাবে ব্যবহার করেন না। হস্তচালিত কম গভীরতার নলকূপের জল খান। নোংরা পুকুরের জল ব্যবহার করেন। ওই দুটি নলকূপের জল দূষিত হয়েছে। এসব কারণে দ্রুত রোগ ছড়িয়েছে।” এদিন পুকুর ও জলাশয়গুলিতে ব্লিচিং ছড়িয়ে শোধন করার কাজ শুরু হয়েছে বলে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান। বাসিন্দারা জানান, এলাকার ঘরে ঘরে ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত রোগী। অনেকেই আতঙ্কে পরিবারের সুস্থ সদস্যদের অন্য গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। উল্লেখ্য, আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা চৈতন্য মুর্মু (৩২) ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত সোমবার মারা যান। বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর বলেন, “অসুস্থ রোগীদের সরকারি অ্যাম্বুল্যন্স করে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা হয়েছে। ”বিডিও শুভ্রজিত গুপ্ত জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য কর্মীরা আক্রান্তদের পরীক্ষা করে ওষুধ বিলি শুরু করেছেন। আপাতত বালুরঘাট থেকে ট্যাঙ্কারে করে জল সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রাখা হয়েছে। |