টানা দশ দিন বন্ধ সেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অন্তর্বিভাগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
বুধবার দশম দিনেও প্রতাপদিঘি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দিলেন না কোনও চিকিৎসক। যার ফলে বহির্বিভাগে নার্স ও ফার্মাসিস্টরা রোগী দেখলেও বন্ধ ছিল অন্তর্বিভাগ। স্থানীয় বাসিন্দারা স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রশাসনের সব মহলে বার কাছে দরবার করলেও কোনও কাজ হয়নি। যার ফলে তারা কার্যত হতাশ। স্থানীয় মানষদের একাংশের বক্তব্য, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না। দায়বদ্ধতা দেখাচ্ছেন না চিকিৎসক, স্বাস্থ্য দফতরের কর্তা থেকে জনপ্রতিনিধিরাও। পটাশপুরের বিধায়ক জ্যোতির্ময় কর বলেন, “এলাকার মানুষের প্রতি অত্যন্ত অন্যায় করা হচ্ছে। এমন চললে সমাজের দরিদ্র সংখ্যালঘু মানুষেরা যাবেন কোথায়। বৃহস্পতিবার থেকেই যাতে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনও চিকিৎসক আসেন তা সুনিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী বলেন, “আরও কয়েকটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একই সমস্যা চলছে। স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে এধরনের গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। চিকিৎসক সংখ্যার ঘাটতি রয়েছে ঠিকই, তবে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দ্রুত চিকিৎসক পাঠানোর জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপনকুমার ঝরিয়াৎ বলেন, “একজন চিকিৎসককে ওখানে পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য বৈঠকও করা হয়েছে।” |
লালগোলায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ৩ |
ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে লালগোলার বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে। ৩ জন বর্তমানে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। লালগোলার বিডিও স্বপ্নজিৎ সাহা বলেন, “ডেঙ্গি আক্রান্ত এলাকার প্রতিটি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেওয়ার জন্য আশাকর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বলা হয়েছে। জ্বরে আক্রান্তদের রক্ত পরীক্ষা করার জন্য বিশেষ স্বাস্থ্য শিবির করতে লালগোলার বি এম ও এইচ-কে বলা হয়েছে।” লালগোলার বিএমওএইচ সৌম্য সাহা বলেন, “ “গত কয়েক দিনের মধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত ৩ জন রোগীকে শনাক্ত করা গিয়েছে। পুজোর সময়ের বৃষ্টিপাতে ফলে বিভিন্ন জায়গায় জল জমে যায়। তা থেকে ডেঙ্গির জীবাণু বাহিত মশার উপদ্রব শুরু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।” লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সিরিন খাতুন বিবি বলেন, “এলাকায় ব্লিচিং ছড়ানো হয়েছে। মশা নিধনের ব্যবস্থা করা হবে।
|
এডস্ প্রতিরোধে জেলার বিভিন্ন এলাকায় শিবির করে এইচআইভি শনাক্তকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। পশ্চিম মেদিনীপুরে ১০টি শিবির হওয়ার কথা। বুধবার থেকে শুরু হল এই কর্মসূচি। এ দিনই ৩টি শিবির হয়। দাসপুর ১, দাসপুর ২ এবং পিংলায় ১টি করে শিবির হয়। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রক্ত পরীক্ষার পর যাঁদের রক্তে এইচআইভি সংক্রমণ মিলবে, তাঁদের কাউন্সিলিং করে গোপনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। জানা গিয়েছে, এ দিন পিংলার শিবিরে ৩৩৫ জন আসেন। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার পর ১২৯ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। দাসপুর ১-এর শিবিরে ১৯৫ জন আসেন। ২৩ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। দাসপুর ২-এর শিবিরে ১১৮ জন আসেন। ৩৬ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
|
মহিলার পরিবার অভিযোগ করেছিল অস্ত্রোপচারের পর পেটে রয়েছে গিয়েছে গজ। এ বিষয়ে পুলিশ ও হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। অথচ বুধবার কালীগঞ্জের বাসিন্দা কামারুন্নেসার পেটে অস্ত্রোপচার করে গজের চিহ্নমাত্র মিলল না। কৃষ্ণনগর জেলা সদর হাসপাতালের সুপার বলেন, “সাতজন চিকিৎসকের উপস্থিতিতে ওই মহিলার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। কিন্তু পুঁজ ছাড়া কিছুই মেলেনি।”
পুরনো খবর: শুরু হল চিকিত্সা |