টুকরো খবর
নির্দেশ সত্ত্বেও যোগ দিলেন না চিকিৎসক
অবস্থটা বদলালো না প্রতাপদিঘি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। চিকিৎসক না থাকায়এখনও রোগী দেখছেন ফামার্সিস্ট। চিকিৎসকের অভাবে বন্ধ রয়েছে হাসপাতালের অন্তর্বিভাগও। মোবাইল বন্ধ থাকায় যোগাযাগ করা যায়নি পটাশপুর-২ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ওয়াসিম রানার সঙ্গেও। সোমবার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপনকুমার ঝরিয়াৎ চিকিৎসক অনুজিৎ দাসকে মঙ্গলবার ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। অনুজিতবাবু বলেন, “প্রতাপদিঘিতে আমাকে যোগ দিতে বাধ্য করা হলে আমি চাকরি ছেড়ে দেব। ওখানে কাজ করার ক্ষেত্রে আমার সমস্যা রয়েছে।” তবে সমস্যাটা ঠিক কি তা খোলসা করেননি তিনি। পটাশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের চন্দন সাউ বলেন, “স্বাস্থ্য দফতরে একরকম অরাজকতা চলছে। কেউই কোনও কার্যকরী ভূমিকা নিচ্ছেন না। আর আমাদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে।” চুক্তির ভিত্তিতে বর্তমানে পটাশপুর-২ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত রয়েছেন অনুজিতবাবু। ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, “গত আট মাসে আমাকে চারবার বদলি করা হয়েছে। গত মে মাসে কিছু সমস্যার জন্য প্রতাপদিঘি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজ ছেড়ে দিই। দু’মাস পরে স্বাস্থ্য দফতরই আমাকে ফের ডেকে আনে। তখন আমার শর্ত ছিল, প্রতাপদিঘি গিয়ে কাজ করবো না। তাহলে কেন আমাকে আবার ওখানে পাঠানো হচ্ছে। তাছাড়া ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আমাকে প্রতাপদিঘিতে যাওয়ার ছাড়পত্র দেননি। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “ওই চিকিৎসক দায়িত্ব পালন না করলে চাকরি ছেড়ে দিন। আমরা বুঝে নেব। মহকুমা হাসপাতাল থেকে কাউকে ওখানে পাঠানো যায় কিনা তা দেখা হচ্ছে।”

এডস্‌ পরীক্ষা শিবির মুর্শিদাবাদে
জেলা জুড়ে শিবির করে এইচআইভি শনাক্তকরণ শুরু করল মুর্শিদাবাদ জেলা স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার সামসেরগঞ্জ বল্কের নিমতিতা গ্রামপঞ্চায়েতে ১৯০ জনের রক্ত সংগ্রহ ও পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। বুধবার সুতি ১ ব্লকে আর একটি শিবির অনুষ্ঠিত হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অজয় চক্রবর্তী বলেন, “মুর্শিদাবাদ জেলাকে এডস প্রবণ জেলা হিসাবে ধরা হয়। রাজ্যের অন্যান্য জেলার থেকে এডস আক্রান্তেরর সংখ্যা এই জেলায় অনেক বেশি। মুর্শিদাবাদে এডস আক্রান্ত ৮৫২ জনের এই মুহূর্তে চিকিত্‌সাও চলছে।” রক্ত পরীক্ষার পর আরও অনেকের এই সংক্রমণ ধরা পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই শিবির চলবে। অজয়বাবু বলেন, “মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে কয়েক লক্ষ মানুষ ভিন রাজ্যে কাজে যান। সেখান থেকে দীর্ঘদিন কাটিয়ে ফিরে আসেন। সেই কারণেই ডোমকল, জলঙ্গি, রঘুনাথগঞ্জ ২, লালগোলা, সামসেরগঞ্জ-সহ জেলার ৮টি ব্লকে এই শিবির করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই শিবিরগুলিতে রক্ত পরীক্ষার পর যাঁদের রক্তে এইচআইভি সংক্রমণ মিলবে তাঁদের কাউন্সিলিং করে গোপনে চিকিত্‌সার ব্যবস্থা করা হবে।” সামসেরগঞ্জের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সজল পণ্ডিত বলেন, “জেলা ও ব্লকের ৫ জন চিকিত্‌সক ও টেকনিশিয়ান প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। তাঁরাই মঙ্গলবার নিমতিতায় রক্ত পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিয়েছেন। রিপোর্ট গোপনে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে পাঠানো হচ্ছে। যাতে তাঁদের উপর নজরদারি রেখে দ্রুত চিকিত্‌সা শুরু করা যায়। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া বহু স্থানেই একাধিক যৌনপল্লী রয়েছে। সেখানে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।”

শুরু হল চিকিত্‌সা
অস্ত্রোপচারের দু’মাস পরে কালীগঞ্জের বড় চাঁদঘরের বাসিন্দা কামারুন্নেসা বিবির চিকিত্‌সার জন্য তিন সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গড়ল কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বোর্ডে দু’জন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ও একজন শল্য চিকিত্‌সক রয়েছেন ওই বোর্ডে। সোমবার ওই মহিলা আল্ট্রাসোনোগ্রাফিও করা হয়েছে। সুনিশ্চিত হওয়ার জন্য আরেকবার আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করে ওই মহিলার চিকিত্‌সা শুরু করা হবে। হাসপাতাল সুপার দেবব্রত দত্ত বলেন, “ওই মহিলার চিকিত্‌সাতে যাতে কোনও ঘাটতি না হয় সে ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট। ঘটনার তদন্তে বোর্ড গঠনও করা হয়েছে।”

পুরনো খবর:
গাফিলতিতে প্রসূতির মৃত্যু
চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল ডুয়ার্সের বানারহাট থানার ধূমপাড়া এলাকায়। গত সোমবার রাতে বানারহাটের বাসিন্দা চম্পা মণ্ডল (২৮) নামের এক বধূর মৃত্যু হয়। গত রবিবার তাঁকে ধূমপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। গত সোমবার তিনি পুত্র সন্তান প্রসব করেন। অভিযোগ প্রসবের পরেও নাড়ি না কাটায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই চম্পাদেবীর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার মৃতার আত্মীয়রা ধূমপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিতসার গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভজিৎ হাওলাদার বলেন, “প্রসুতির মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গাফিলতি থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সাঁতুড়িতেও ছড়াল আন্ত্রিক
কুয়োর দূষিত জল থেকে আন্ত্রিক ছড়িয়েছে সাঁতুড়ি ব্লকের মাড়বেদিয়া গ্রামে। আট জন অসুস্থ হয়ে শালতোড়া ও সাঁতুড়ি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হয়েছেন। সাঁতুড়ির বিডিও দিব্যেন্দু শেখর দাসের দাবি, “অবস্থা নিয়ন্ত্রণে। মঙ্গলবার নতুন করে অসুস্থ হননি।” বাসিন্দারা জানান, ওই গ্রামের কিছু মানুষ একটি মাঠকুয়োর জল খান। দীর্ঘদিন ধরে কুয়োটির সংস্কার হয়নি। টানা বৃষ্টিতে মাঠের দূষিত জল কুয়োর মধ্যে মেশায় রোগ ছড়িয়েছে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মনীশ শর্মা বলেন, “কুয়োর জল ঘোলাটে হয়ে গিয়েছে। সেই জল থেকেই আন্ত্রিক ছড়িয়েছে।” বিডিও জানান, মাড়বেদিয়াতে দু’টি নলকূপ বসানো হবে।”

স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির
সম্প্রতি শ্রীরামপুরের সতীশচন্দ্র ঘোষ লেনের বেদান্ত বিদ্যাশ্রমের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়। অন্তত শ’দুয়েক মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন চিকিৎসকেরা।

অঙ্গ প্রতিস্থাপন
অঙ্গ প্রতিস্থাপনের বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে ৪৬ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনা হল মঙ্গলবার। চলতি মাসের ২৮ তারিখ জাতীয় অঙ্গ ও ত্বক দান দিবস। এই উপলক্ষেই পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মিলিতভাবে কিছু সচেতনতা কার্যক্রমের আয়োজন করেছে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আয়োজক সংগঠনের তরফে সমাজকর্মী ব্রজ রায় এ দিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, নাটক, গান, কথা বলা পুতুল ও মূকাভিনয়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা হবে। একটি তথ্যচিত্রও তৈরি হচ্ছে। শেষ হবে ২৮ নভেম্বর।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.