|
|
|
|
নিখরচার মোবাইল, বিশেষ সিম দেওয়া হচ্ছে আশাকর্মীদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কাজের ক্ষেত্রে নিখরচায় মোবাইল ব্যবহারের জন্য আশা কর্মীদের বিশেষ ‘সিম’ বিলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ‘ক্লোজড ইউজার গ্রুপ’ (সিইউজি)-এর এই ‘সিম’ ব্যবহার করলে আশাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে নিখরচায় কথা বলতে পারবেন। বিনা ব্যয়ে কথা বলা যাবে স্বাস্থ্য দফতরেও। অন্য পরিষেবার ফোনে কথা বললেও তুলনায় কম খরচ হবে। প্রথম দফায় রাজ্যের ছয় জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় এই সিম বিলি করা হবে।
পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রথম ‘সিম’ দেওয়া হবে শালবনি ব্লকে। আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ব্লকের ১২৬ জন আশাকর্মীর হাতে সিম তুলে দেবেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, “প্রত্যন্ত এলাকায় মহামারি বা বড় ধরনের রোগ-জ্বালার খবর পেতে কিছুটা দেরি হয়। আশা কর্মীদের কাছে নিখরচার মোবাইল থাকলে আর সে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। দ্রুত খবর পৌঁছলে নিমেষে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিতে পারবে স্বাস্থ্য দফতর। সে জন্যই সরকারের এই পদক্ষেপ।” স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সিম চালু করার জন্য আশাকর্মীদের এককালীন ১০০ টাকা দেওয়া হবে। |
|
—ফাইল চিত্র। |
মূলত প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেই কাজ করেন আশা স্বাস্থ্যকর্মীরা। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ১ হাজার জনসংখ্যা পিছু ১ জন করে আশাকর্মী থাকার কথা। পশ্চিম মেদিনীপুরে বর্তমানে ৩৭০০ জন আশাকর্মী রয়েছেন। প্রায় সাতশো পদ শূন্য। অথচ স্বাস্থ্য পরিষেবায় এই কর্মীদের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, শিশুদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ রাখা, শিশুমৃত্যু হচ্ছে কিনা দেখা থেকে গ্রামে জ্বর, ডেঙ্গি,ম্যালেরিয়া, আন্ত্রিক ছড়াল কিনা সবই দেখার কথা আশাকর্মীদের। কোথাও কোনও সমস্যা দেখলে তাঁরা ব্লক মেডিক্যাল অফিসারকে খবর দেন। বর্তমানে অবশ্য এই খবর পেতে কিছুটা দেরি হয়। প্রত্যন্ত গ্রামেও এখন বেশিরভাগ মানুষের হাতেই মোবাইল রয়েছে। তবু অনেকে সরকারি কাজের জন্য নিজের টাকা খরচ করতে রাজি হন না। অনেকেই আবার মোবাইল নম্বর দিতে চান না। নিজের মোবাইল নেই বলে এড়িয়ে যান। এই কারণেই আশাকর্মীদের সিম দেওয়ার পরিকল্পনা। ‘সিইউজি’ সংযোগ দেওয়ায় আশাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে কথা বললে বা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বললেও পয়সা লাগবে না। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আশা কর্মীদের নম্বরগুলিও স্বাস্থ্য দফতরের সব অফিসেই থাকবে। ইচ্ছে করলে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সরাসরি কোনও গ্রামের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত খোঁজ নিতে পারবেন সেই প্রত্যন্ত গ্রামে থাকা আশা কর্মীর কাছ থেকেও। প্রথম দফায় ছয় জেলার পরে দ্বিতীয় দফায় দার্জিলিং, বীরভূম, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, মালদা ও পূর্ব মেদিনীপুরে সিম বিলি করা হবে। তৃতীয় দফায় থাকবে বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, হুগলি, উত্তর চব্বিশ পরগনা ও হাওড়া। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের আশা, এর ফলে সামগ্রিক ভাবেই প্রত্যন্ত এলাকার স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়ন হবে।
|
জবাবি শুভেচ্ছা বুদ্ধ-বিমানের |
সৌজন্য মেনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছার জবাব পাঠালেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুরা। শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে বুদ্ধবাবুদের চিঠি পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাম নেতারা তখনই ঠিক করেন, তাঁরাও প্রতি-সৌজন্য দেখিয়ে শুভেচ্ছা পাঠাবেন। কিন্তু নবান্নে সরকারি ছুটি থাকার জন্য যোগাযোগ করতে গিয়েও প্রথমে সাড়া পাননি বিমানবাবু। তখন কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেই জবাবি শুভেচ্ছা পাঠানো হবে বলে ঠিক হয়। সেই মতো মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি যায়। |
|
|
|
|
|