১২ অগস্ট প্রকাশিত ‘শ্যওলা-ধরা শব্দনগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিজেই রুগ্ণ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন। কিন্তু গ্রামটির নাম ‘শব্দনগর’ নয়। সঠিক নাম হল ‘সব্দরনগর’। শব্দ (Sound) থেকে গ্রামের নামটির উৎপত্তি হয়নি। নাম এসেছে সাবদার (Sabdar) নামে এক সাহেবের নাম থেকে। পোস্ট অফিস, স্কুল, হাসপাতাল, পঞ্চায়েত অফিস সর্বত্র সব নথিপত্রে ‘সব্দরনগর’ নামটিই ব্যবহৃত হয়। অথচ এরকম মারাত্মক ভুল ছাপা হল, তা ভাবাই যায় না। সব্দরনগর গ্রামটি নওদা ব্লকের রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বুন্দাইনগর মৌজায় অবস্থিত। সব্দরনগর প্রাথমিক হাসপাতালে উপকৃত হতেন সব্দরনগর, ডুবতলা, পরেশনাথপুর, সোনাটিকুরি, বৈকুণ্ঠনাথপুর, ত্রিমোহিনী, ঝাউবোনা, আলমপুর, বুন্দাইনগর প্রভৃতি গ্রামের মানুষ। একদা হাসপাতালের সব কোয়ার্টারে ডাক্তার, নার্স, কম্পাউন্ডার ও অন্য কর্মীরা বাস করতেন। সারা দিনরাত হাসপাতাল চত্বর লোকজনে ভর্তি থাকত। হাসপাতালে ৬টি বেড ছিল। প্রসূতি মায়েদের সন্তানের জন্ম এই হাসপাতালেই হত, হাসপাতালে ভর্তি থেকে। আশির দশকের শেষ থেকে এই হাসপাতালের অবস্থা সঙ্গীন হতে থাকে। শুধু সব্দরনগর হাসপাতাল নয়, সর্বাঙ্গপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ঘোড়ামারা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, দৌলতাবাদ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ইসলামপুর থানার অন্তর্গত হেরামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র-সহ এ জেলার অনেক প্রাথমিক হাসপাতাল আজ বন্ধ হওয়ার মুখে। ওই সব প্রাথমিক হাসপাতালে আজ আর ডাক্তার থাকেন না।
দীপক বিশ্বাস, বহরমপুর
|
আমি অশীতিপর বৃদ্ধ। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। হাঁটাহাঁটির সম্বল লাঠি। আমার সঙ্গে রয়েছে ১২ বছরের নাতনি। তাকে তার গানের ক্লাসে নিয়ে গিয়েছিলাম বহরমপুর শহরের লালদিঘির পূর্বপাড়ে পুরনো স্টেটব্যাঙ্ক লাগোয়া গলিতে। গত ৯ জুলাই-এর ঘটনা। রাত তখন ৮টা ১০। গান শেখানোর পালা শেষ। আমরা বাড়ি ফিরছি। কয়েক হাত এগিয়েছে আমার নাতনি। হঠাৎ ‘দাদু গো...!’ বলে আর্ত চিৎকার করে উঠল নাতনি। দেখি কয়েকটি বড়সড় কালো কুকুর বিকট চিৎকার করে নাতনির দিকে তাড়া করেছে। নাতনিকে দাঁড়াতে বলে পড়িমরি করে এগিয়ে গেলাম। কুকুরগুলো দাঁড়িয়ে পড়ল। ওই সময় পাশের একটি আবাসন থেকে মোড় পর্যন্ত ভাল পোশাক পরা, ভাল চোহারার ও ভাল স্বাস্থ্যের প্রচুর লোক দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন, চা খাচ্ছিলেন। তাঁদের কেউই আমাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলেন না। আমরা কপাল জোরে কুকুরে কামড় থেকে রক্ষা পেয়ে বাড়ি ফিরে গেলাম। আমাদের মানবিকতার এত অভাব কেন? পথ কুকুরের বিপজ্জনক রকমের সংখ্যা বৃদ্ধি সত্ত্বেও পুরসভা ও প্রশাসন নীরব কেন? এ প্রশ্ন কার কাছে রাখব?
কৃত্তিকারঞ্জন সিংহ, সুতিরমাঠ
|
আমি বহরমপুর শহরের কৃষ্ণনাথ কলেজের পদার্থবিদ্যায় অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। বাড়ি বহরমপুর শহরের কে পি চট্টোর রাজ রোডে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় গৃহশিক্ষকতার পরে বাড়ি ফিরতে রাত ৯টা-১০টা হয়ে যায়। কিন্তু বাড়ি ফেরার রাস্তা অর্থাৎ নিমতলা মোড় থেকে জজকোর্ট মোড় পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওই রাজপথটি পথ-কুকুরের দখলে চলে গিয়েছে। নিমতলা মোড় থেকে রাজামিঞার মোড়ের অবস্থাও একই রকম ভয়াবহ। বেশিরভাগ কুকুরই রোগগ্রস্থ। গায়ের লোম উঠে গিয়েছে। সারা গায়ে ঘা। রাস্তার যত্রতত্র কুকুরের বিষ্ঠায় ভর্তি। কুকুরগুলি চিৎকার করে ধেয়ে আসে। কয়েকজন ইতিমধ্যে ওই সব রোগগ্রস্থ কুকুরের কামড় খেয়েছে। পথ-কুকুরের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। পুরপ্রধানের কাছে আবেদ দয়া করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের বাঁচান।
অপর্ণা কুণ্ডু, গোরাবাজার
|
গত ৯ অক্টোবর প্রকাশিত ‘তেহট্টের বিতর্কিত জমিতে উদ্যান তৈরির উদ্যোগ’ শীর্ষক খবর পড়ে খুব ভাল লাগল। নদিয়া জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ এমন একটি সুন্দর কাজে উদ্যোগী হওয়ার জন্য। প্রশাসনের উদ্যোগে ওই বিতর্কিত জমিতে উদ্যান তৈরি হলে তার সুফল সকলের সন্তানেরাই ভোগ করবে। ওই জমি দখলকে কেন্দ্র করে অশোক সেন মারা গিয়েছেন। তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী একজনকে সরকারি চাকরি দিয়েছেন ও একজনকে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন খবুই ভাল কথা। কিন্তু যিনি চলে গেলেন তিনি তো গেলেনই! দু’দিন বাদে আমরা তাঁকে ভুলে যাব। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ও প্রশাসনের অন্যদের কাছে অনুরোধ, প্রস্তাবিত ওই উদ্যানটির নাম মৃত অশোক সেনের নামানুসারে করার কথা ভাবা যায় না কি?
নিরঞ্জন পাল, কৃষ্ণনগর |