|
|
|
|
স্কুলে প্রশিক্ষণহীন শিক্ষক নিতে বাধা নেই, জানাল কোর্ট
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের জট কাটিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের তো বটেই, পদ পূরণের জন্য প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদেরও নিয়োগ করা যাবে বলে উচ্চ আদালত বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিয়েছে। তবে প্রথমে সুযোগ পাবেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীরা। তার পরে যে-সব শূন্য পদ অবশিষ্ট থাকবে, সেগুলিতে প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের নেওয়া যাবে।
প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকদের যাতে নিয়োগ করা না-হয়, সেই আবেদন জানিয়ে শিক্ষকদের একটি সংগঠন হাইকোর্টে মামলা ঠুকে দিয়েছিল। বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত এ দিন মামলাটি খারিজ করে দেন।
আবেদনকারীদের বক্তব্য ছিল, দেশের কোথাও আর প্রশিক্ষণহীন শিক্ষক নিয়োগ করা হয় না। ন্যাশনাল কাউন্সিল অব টিচার্স এডুকেশন বা এনসিটিই-র নিয়ম অনুযায়ী মাধ্যমিক স্কুল বা স্কুলশিক্ষার কোনও স্তরেই প্রশিক্ষণহীন শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে না। কিন্তু কয়েক বছর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের অনেক বেআইনি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার জেরে রাজ্যে যথেষ্ট সংখ্যায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। স্কুলে স্কুলে পঠনপাঠন ব্যাহত হতে থাকে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য সরকার এনসিটিই-র কাছে আবেদন জানায়, প্রশিক্ষণহীন শিক্ষক নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হোক। এনসিটিই অনুমতি দিয়ে জানায়, ২০১৪ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রশিক্ষণহীন শিক্ষক নেওয়া যাবে। তবে শর্ত হিসেবে বলা হয়, দু’বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
আবেদনকারীরা হাইকোর্টে জানান, শিক্ষক-পদে প্রশিক্ষণহীন প্রার্থী নিয়োগের অনুমতি দেওয়ার কোনও ক্ষমতা নেই এনসিটিই-র। এটা ঠিকই যে, এনসিটিই সেই সময় রাজ্যের স্কুলের বাস্তব পরিস্থিতি অনুধাবন করে ওই প্রার্থীদেরও নিয়োগ করতে বলেছিল। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী তারা প্রশিক্ষণহীন শিক্ষক নিয়োগের অনুমতি দিতে পারে না। সরকারের তরফে বলা হয়, প্রচুর শিক্ষক-পদ শূন্য। তার সব ক’টি পূরণ করার মতো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থী নেই। অথচ শিক্ষক নিয়োগ না-করলে অনেক স্কুল চালানোই কঠিন হয়ে যাবে। তাই প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদেরও নিয়োগ করার অনুমতি বহাল রাখা হোক।
দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে হাইকোর্ট জানায়, প্রয়োজনীয় শিক্ষক জোগান দেওয়ার জন্যই প্রশিক্ষণহীন প্রার্থী নেওয়া দরকার। তবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীদের আগে সুযোগ দিতে হবে। তার পরে প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগ করতে কোনও বাধা নেই।
|
পুরনো খবর: তালিকা-বিভ্রাটের জের, বহু শিক্ষকের বিএড অনিশ্চিত |
|
|
|
|
|