লোকসভা ভোটের আগেই সংগঠনের রদবদলে হাত দিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএম। বদলানো হচ্ছে কিছু পুরনো মুখ, ভেঙে নতুন করে গড়া হচ্ছে বেশ কিছু কমিটি। জেলার বিতর্কিত নেতা মজিদ মাস্টার যে জোনাল কমিটির সম্পাদক, সেই কমিটিই এ বার তুলে দিয়ে নতুন জোনাল কমিটি তৈরি করতে চলেছেন গৌতম দেবেরা।
উত্তর ২৪ পরগনায় সিপিএমের দু’দিনের বর্ধিত জেলা কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। দলের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও এ দিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কয়েকটি জোনাল কমিটি অবলুপ্ত করে দিয়ে নতুন করে এলাকা বিন্যাস করা হচ্ছে। যেমন, মজিদ যে বারাসত-২ জোনালের সম্পাদক ছিলেন, তার আর অস্তিত্ব থাকছে না। বারাসত এবং বারাসত-১ নামে দু’টি জোনাল কমিটি হচ্ছে এ বার। সেই সঙ্গেই নতুন তৈরি করা হচ্ছে দেগঙ্গা জোনাল কমিটি। তেমনই স্বরূপনগর ও
বাদুড়িয়া দু’টি পৃথক জোনাল কমিটি হচ্ছে। সাংগঠনিক কাজের সুবিধার্থে একসঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে বেশ কিছু লোকাল ও শাখা কমিটিও। |
তবে তাঁর জোনাল উঠে গেলেও জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে আপাতত থেকে যাচ্ছেন মজিদ। জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে নতুন মুখ হিসাবে আসতে চলেছেন রাজারহাটের বলাই চট্টোপাধ্যায়, ভাটপাড়ার হরিমোহন নাথ ও বাদুড়িয়ার মহম্মদ সেলিম গায়েন। বয়সজনিত কারণে জেলা কমিটি থেকে অব্যাহতি দিয়ে আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে রাখা হচ্ছে চার জনকে। তাঁদের বদলে জেলার কমিটিতে ঢুকছেন নতুন চার জন।
এই সব সিদ্ধান্তেই আজ, শুক্রবার জেলা কমিটিতে সিলমোহর পড়ার কথা। পাশাপাশি নেওয়া হবে কিছু আন্দোলন কর্মসূচিও।
সিপিএম সূত্রের খবর, জেলার নেতাদের সামনে বুদ্ধবাবু বলেছেন, শাসক দলের প্রবল সন্ত্রাসের সামনে দাঁড়িয়েও পানিহাটি ও হাবরা পুরসভায় বামেরা যা ফল করেছে, তাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এর মাধ্যমে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আসলে বর্ধমান ও চাকদহে ভোটের ময়দান থেকে সরে দাঁড়ানোর বিপক্ষেই বার্তা দিয়েছেন বলে একাংশের ব্যাখ্যা।
|