প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের সোনার বিস্কুট, অলঙ্কার এবং একটি মোটর সাইকেল-সহ এক দুষ্কৃতীকে আটক করল সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের তেঁতুলিয়া সেতুর উপরে থেকে ওই দুষ্কৃতীকে আটক এবং পরে স্বরূপনগর থানায় এনে গ্রেফতার করা হয়। আটক সোনার বিস্কুট এবং অলঙ্কার তুলে দেওয়া হয় শুল্ক দফতরের হাতে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সহিদুল ইসলাম মণ্ডল। বাড়ি সীমান্তবর্তী বিথারি গ্রামে। সে হাকিমপুর বাজার কমিটিরও সম্পাদক। স্বরূপনগরের শুল্ক দফতরের ইনস্পেক্টর মিলন চন্দ্র হালদার বলেন, “সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং শুল্ক দফতরের যৌথ উদ্যোগে সহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তল্লাশি চালিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে মোট ২২টি সোনার বিস্কুট এবং অলঙ্কার উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সোনার ওজন ২ কেজি ৬৯১ গ্রাম।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বরূপনগর সীমান্ত থেকে বাংলাদেশে পাচারের সময় বা বাংলাদেশ থেকে এদেশে পাচারের সময় জিনিসপত্র মাঝেমধ্যেই উদ্ধার করা হয়। সম্প্রতি ছাত্রীদের দিয়ে এক বিশেষ ধরনের পাউডার বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা হলে তা ধরা পড়ে হাকিমপুরের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর হাতে। সম্প্রতি চন্দনকাঠ পাচারের চেষ্টাও রুখে দিয়েছিল বিএসএফ। কিন্তু এত বড় সোনা পাচারের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি বলে বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তেঁতুলিয়া সেতুর কাছে চলে আসে সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর ১৫২ নম্বর ব্যাটালিয়নের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমাণ্ডার ভি পি সিংহ এবং স্বরূপনগরের শুল্ক দফতরের ইনস্পেক্টর মিলন চন্দ্র হালদার। দুপুর একটা নাগাদ মোটরবাইকে সহিদুলকে আসতে দেখে তাকে ধরে ফেলেন জওয়ানরা। এরপর তল্লাশি চালালে একের পর এক সোনার বিস্কুট বেরিয়ে আসে। উদ্ধার হয় দুটি কানের দুলও। যদিও সহিদুলের দাবি, রাস্তা থেকে একজন তার মোটর সাইকেলে উঠেছিল। সোনার বিস্কুটগুলি ওই ব্যক্তির। রাস্তাতেই ওই ব্যক্তি নেমে যায়। তাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। নিজেকে সিপিএম কর্মী হিসেবেও দাবি করে সহিদুল। যদিও ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে দলের কোনও রকম সম্পর্ক অস্বীকার করেছে স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব। পুলিশের দাবি, সহিদুলের বিরুদ্ধে আগে চোরাচালানের অভিযোগ থাকলেও প্রমাণের অভাবে এতদিন তাকে ধরা যাচ্ছিল না। সোনার বিস্কুট সম্পর্কে আরও তথ্য জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সহিদুলকে। |