বিস্তীর্ণ এলাকা কাঁপিয়ে সমুদ্রজঠর থেকে বেরিয়েছিল সে। তার পর কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহেরও বেশি সময়। এর মধ্যে পাকিস্তানের নতুন কাদা পাহাড়ের সেই দ্বীপটির নামকরণ হয়েছে ‘জালজালা কোহ’ । তার নানা ছবিও তুলেছে নাসার দুই উপগ্রহ। তাতে ধরা পড়েছে দ্বীপটির ভূ-প্রকৃতির খুঁটিনাটি। উৎসাহ এতটাই যে নতুন অতিথিকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের দল।
তবে দেখেশুনে মোটামুটি সকলেই একমত, এক তাল কাদার সঙ্গে সবিশেষ মিল রয়েছে এই দ্বীপের। যেমন গোলাকৃতি দ্বীপটির দেহে রয়েছে অসংখ্য ফাটল। তা দিয়ে এখনও মাঝেমধ্যেই বেরিয়ে আসছে দূষিত ও দাহ্য গ্যাস। কাদা, বালি আর পাথর দিয়ে তৈরি এই দ্বীপের গায়ে সেঁটে রয়েছে অগুনতি মরা-মাছের দেহ। দেখা মিলছে প্রচুর সামুদ্রিক প্রাণীরও। তবে জীবিত নয় তারাও। |
সেই নতুন দ্বীপ। — ফাইল চিত্র। |
ভূ-প্রকৃতিগত ভাবে পাহাড় বলা হলেও ‘জালজালা কোহ’ দ্বীপের গড়ন কিন্তু চ্যাপ্টা। নাসার আর্থ-অবজারভিং-ওয়ান এবং ল্যান্ডস্যাট এইট উপগ্রহের তোলা ছবিতে উঠে এসেছে সে দ্বীপের উচ্চতা ও বিস্তৃতিও। ৭৫ মিটার থেকে ৯০ পর্যন্ত বিস্তৃত জালজালা কোহ-র জলস্তর থেকে উচ্চতা ১৫ থেকে ২০ মিটার। উপগ্রহ চিত্রে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, নয়া দ্বীপের আশপাশের জলস্তরের গভীরতা ১৫ থেকে ২০ মিটারের বেশি নয়। সেখান থেকেই ছোটখাটো ঢেউ আছড়ে পড়ছে জালজালা কোহ-র শরীরে। কাদার পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে ফিরে যাচ্ছে। আর সঙ্গে প্রতি বারই অল্প অল্প করে নিয়ে যাচ্ছে পাহাড়ের বালি, কাদা।
নাসার দাবি, এ দ্বীপের আয়ু খুবই কম। অল্প সময়ের মধ্যেই তার ভিতরে জমে থাকা উত্তপ্ত গ্যাসভাণ্ডার হয় ঠাণ্ডা হয়ে যাবে নয়তো চাপা পড়ে যাবে। আর তার পরেই সমুদ্রে বসে যাবে দ্বীপ। এ ভাবেই ১৯৬৮ সালে এক ভূমিকম্পের হাত ধরেই উঠে এসেছিল জালজালা কোহ-র এক পুর্বসুরি। প্রায় এক বছর থাকার পর সমুদ্রগর্ভে মিশে গিয়েছিল সে।
|